।। প্রথম কলকাতা ।।
আগুন নিয়ে খেলছে বিএনপি। ক্ষমা চাইতে বললেন শেখ হাসিনা। ভোট বানচাল করতে চলছে প্রচুর চক্রান্ত। আগুন সন্ত্রাসে জ্বলছে বাংলাদেশের মানুষ। ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে না তো আওয়ামীলীগ? বিএনপিকে সাবধান করছে নাকি নিজেরাই ভয় পাচ্ছে? বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো ভোটে অংশ না নিলে, আওয়ামী লীগ চাপে পড়ে যাবে না তো?
আর কয়েক মাস পরেই বাংলাদেশের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই তফসিল ঘিরে দেখা দিয়েছে চরম বিতর্ক। অনেকটা যেন একতরফা হয়ে গেছে, কারণ বিএনপি সহ বিরোধী বহু রাজনৈতিক দল তফসিল মেনে নেয়নি। উপরন্তু জোর কদমে চালাচ্ছে অবরোধ কর্মসূচি। কিন্তু নাছোড়বান্দা আওয়ামী লীগ। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি পরাশক্তিগুলো বারংবার বলে দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন যেন হয় অংশগ্রহণমূলক। কিন্তু এই অংশগ্রহণমূলক হতে গেলে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা চাই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, যেভাবে দেশ জুড়ে অবরোধ থেকে অগ্নি সংযোগের ঘটনা চলছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপি সহ জামায়াতকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত। নির্বাচনের দরজার সবার জন্য খোলা। সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।
শেখ হাসিনার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছে। যার সুফল পাচ্ছে গোটা দেশ। তাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শেখ হাসিনা আশা করেন, বাংলাদেশের তরুণদের সহযোগিতায় তিনি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। অপরদিকে যারা খুন করছে, সাধারণ মানুষের হত্যার পরিকল্পনা করছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের কেন নির্বাচন করবে? কেনই বা তাদের উপর আস্থা রাখবে? রীতিমত খোঁচা দিলেন বিরোধীদের। তার মতে, জনগণ ভোট দিয়ে যে দলকে নির্বাচন করবে তারাই গঠন করবে সরকার। আর সেই সিদ্ধান্ত তিনি মাথা পেতে নেবেন।
শেখ হাসিনার কথায়, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য ‘যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগান দিয়ে সবাই ভোট দিক। বিএনপি ২০১৪ সালের মতোই আবার জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। যা মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আগুন নিয়ে খেলা পছন্দ করে না। বিএনপি জামায়াতের জোট ভোট বানচাল করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ। নির্বাচন জনগণের অধিকার। যেখানে মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, জনপ্রিয়তা ধরে রাখা মুখের কথা নয়। আওয়ামী লীগ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে মানুষের উপর আস্থা রাখতে না পেরে হামলা চালাচ্ছে বিএনপি জামায়াত। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় কারোর আসার সুযোগ নেই। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
দেখুন, নির্বাচনে এলেই শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী দল, সবার মুখেই শোনা যায় গরমাগরম কথা, প্রতিশ্রুতির ঝুলি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে গেলে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর যদি তা না হয়, নির্বাচন হয়ে যাবে একপেশে। তখন প্রশ্ন বাণে জর্জরিত হবে আওয়ামী লীগ। তাই কি পিঠ বাঁচাতে বিএনপিকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন শেখ হাসিনা? নাকি চাইছেন সুষ্ঠু সমাধান? বিএনপি আদৌ কি ক্ষমা চাইবে? আপনার কি মনে হয়?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম