।। প্রথম কলকাতা ।।
কাজ করতে করতে হঠাৎ হাত-পায়ে ঝি ঝি লেগে যাচ্ছে। কি বিরক্তির ব্যাপার বলুন তো? আপনিও কি এই সমস্যায় ভোগেন, অথচ বিষয়টা একেবারেই পাত্তা দেন না? অবহেলা করে বড় ভুল করছেন। ঝিঝি ধারা কিন্তু এক্কেবারেই সাধারণ ব্যাপার নয়। জানান দেয় মারাত্মক রোগের কথা। ঝি ঝি কেন ধরে? কেনই বা সচেতন হবেন? অবশ্যই জেনে রাখুন আর সচেতন হন।
হাত পায়ে ঝি ঝি লাগলে ব্যাপারটা তুচ্ছ ভাবে নেবেন না। ঘন ঘন হতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এটাই হতে পারে কোন কঠিন রোগের ইঙ্গিত, যা হয়ত আপনি বুঝতে পারছেন না। ঝিঝি লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া কিংবা শরীরের কোন অঙ্গ নাড়াতে পারা, সাময়িকভাবে এই ঘটনাকে বলে ঝি ঝি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘনঘন এমনটা হলে থাইরয়েড, ডায়াবেটিস কিংবা স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে।
স্নায়ুতে যদি কোন কারণে চাপ পড়ে, তখন শরীরের সেই অংশে এই অনুভূতি সেভাবে কাজ করে না। ঝিঝির সমস্যা হতে পারে শরীরের যে কোন অংশে। দীর্ঘক্ষণে এক ভঙ্গিতে বসে থাকলে এমনটা হতেই পারে। আসলে আমাদের হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশি গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে স্নায়ু। স্নায়ুর উপর যখন একটু চাপ পড়ে তখনই ঝিঝি ধরে।
কেন হয় এমনটা?
কেমো থেরাপির মতো চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে চেতনা নাশক কোন ওষুধ ব্যবহারের করলে, সিসা বা রেডিয়েশনের মতো বস্তুর সংস্পর্শে এলে, পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতিতে কিংবা কোনো কারণে যদি স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ঝি ঝি ধরতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ রোগী কিংবা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। কখনো বা শরীরে কোন অংশে রক্ত প্রবাহ হঠাৎ কমে গেলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়। স্নায়ুতে চাপ পড়ার পর শরীরের ওই অংশ থেকে যে তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছানোর কথা তা পৌঁছাতে পারেনা। বাধা প্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি স্নায়ুগুলো হৃদপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পায় না।
কখনো কখনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলেও এমনটা হতে পারে। যদি দেখেন একটু নড়েচড়ে বসেও বা ওই জায়গাটা ম্যাসেজ করেও কমছে না, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়াও যারা থাইরয়েড কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের এমনটা হয়। অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও স্নায়ু ঠিকঠাক কাজ করে না। হাত-পা অসার হয়ে যায়। একই সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে। ভিটামিন বি এর বড়সড় ঘাটতিতেও হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরে। কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও এমনটা হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেই ওষুধ বদলে ফেলুন।
সোজা সাপ্টা কথায় বিষয়টা নিয়ে একটু সাবধানে থাকুন। দিনের পর দিন এমনটা হলে, ভাববেন মস্তিষ্কের সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ হচ্ছে না। তাতে কিন্তু স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। যার অন্যতম লক্ষণ হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া। এই সমস্যা হতে পারে মেরুদন্ড কিংবা মস্তিষ্কে কোনো সমস্যা থাকলে। মাঝেমধ্যে সুগার লেভেল চেক করিয়ে নিন। অযথা আতঙ্কিত নয়, সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম