।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel-Hamas war: গাজার মাটিতে ইসরাইলের বিষবৃক্ষ। নেতানিয়াহুর কোন মন্ত্রে কুঁকড়ে যাচ্ছে হামাস? প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠীর শর্ত মাটিতে মিশিয়ে ছাড়বে আইডিএফ কে। এবার ইসরাইল আরও শক্ত। কোন কূলে ভিড়বে হামাস? দম ফুরাচ্ছে? নেতানিয়াহুর সুপার মুভে তোলপাড় গাজা। হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের ডিমান্ডে আকাশ পাতাল ফারাক। দিনরাত এক করে গাজার বুকে অভিশাপ এঁকে দিচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সাফ কথা, যতক্ষণ না পণবন্দিরা মুক্তি পাচ্ছে আর হামাস সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। কিন্তু, যুদ্ধের আড়াই মাস পর রং বদলাচ্ছে হামাস। হঠাৎ করেই যুদ্ধবিরতি? কেন ইসরাইল দু চোক্ষের বিষ? প্যালেস্টাইনি জঙ্গি সংগঠন হামাস জানিয়েছে, প্যালেস্টাইনিদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না করা হলে তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে চায় না।
প্রশ্ন হলো ৭ই অক্টোবর যে হামাস ইহুদি ভূমি লক্ষ্য করে গুচ্ছ গুচ্ছ রকেট ছুঁড়েছিল তারাই কিনা যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটতে চাইছে? আইডিএফ এর জন্য কি আরো বড় কোনো ফাঁদ? নেতানিয়াহু ট্র্যাপে জড়াতে নারাজ পয়েন্টে খেলছেন। একটা সহজ বাছাই করতেই হবে হামাসকে। হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে নাহলে শেষ হয়ে যেতে হবে। মুক্তি দিতে হবে পণবন্দীদের। এছাড়া আর কোনও অপশন নেই। জয় না আসা পর্যন্ত ইসরাইল লড়বে। একদম স্ট্রেটকাট কথা নেতানিয়াহুর। বোঝাই যাচ্ছে পুরো বিষয়টার শেষ দেখে ছাড়বেন নেতানিয়াহু। মনে করিয়ে দিই, কয়েকদিন আগেও একটা যুদ্ধবিরতি হয়েছিল হামাস এবং ইসরায়েল মধ্যে। কিন্তু এবার চেনা ছকের বাইরে হাঁটতে চাইছে ইসরাইল। দেখতে দেখতে আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণই নেই। এই পরিস্থিতিতে হামাসের সাঙ্ঘাতিক শর্ত সামনে এসেছে।
দুটো শর্ত, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের অবসান ঘটাতে হবে। মোদ্দা কথা, হামাস সাময়িক বিরতির সঙ্গে আর একমত নয়। তারা শুধু স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। তাছাড়া প্যালেস্টাইনি মানুষদের জন্য মানবিক ত্রাণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই দুই শর্ত মানা না হলে তারা নতুন করে আর কোনো পণবন্দী মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক না। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও আশা নিয়ে বসে আছে। গোটা বিশ্ব চাইছে যুদ্ধ বন্ধ হোক। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বকে কার্যত ঠান্ডা করে দিচ্ছে। যুদ্ধের এফেক্ট পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন সেক্টরে। মানুষের সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে যুদ্ধের কারণে। কিন্তু তারপরেও নেতানিয়াহুর ভ্রুক্ষেপ নেই। ইসরাইল নিজের ফর্মে রয়েছে যা আগামী দিনে শুধু গাজা নয়, গোটা পৃথিবীর জন্য মারাত্মক টেনশনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম