।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের রিমোট ভারতের মাটিতে? বাংলাদেশকে নিয়ে স্ট্রেটকাট কমেন্ট নয়াদিল্লির। জেট ইঞ্জিন-রিপার ড্রোন, কোন যুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছে ভারত যুক্তরাষ্ট্র? উঠে এলো ভারত প্রশান্ত মহাসাগর, “টু প্লাস টু” স্ট্রাকচারে লুকিয়ে বড় ফর্মুলা। ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের কানে হামাস নিকেশের মন্ত্র? মোদীর ব্যালেন্স স্ট্র্যাটেজি তে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। গাজায় ডুবে বিশ্ব, বুক ঠুকে বেরিয়ে আসার পথ দেখালেন নরেন্দ্র মোদী। ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধে কত বড় ভূমিকা ভারতের?ইরানের পর হারে হারে টের পেলো আমেরিকাও। বাংলাদেশকে নিয়েও আপোস নয়। চোখে চোখ রেখে সাফ জবাব ভারতের। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের আবহ। বাংলাদেশেও নির্বাচন আসন্ন। এই ক্রুশিয়াল টাইমে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘টু প্লাস টু’ ফর্ম্যাটে ফেস টু ফেস হলেন।
আর সেখানেই গাজা সংঘাত সমাধানের ‘পথ’ বাতলে দিল নয়া দিল্লি। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আরব ইহুদি দ্বন্দ্বের সুদূরপ্রসারী এফেক্টে পুড়বে মধ্যপ্রাচ্য। তাই হামাস ইসরায়েল যুদ্ধ মেটাতে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বেই জোর দিল নয়াদিল্লি।বিশ্লেষকদের মতে, আরব-ইহুদি সংঘাত ভারতের জন্য অত্যন্ত জটিল সমীকরণ তৈরি করেছে। একদিকে ‘বন্ধু’ ইজরায়েল অন্যদিকে ‘সহযোগী’ ইরান-সহ গোটা মুসলিম বিশ্ব। কাউকেই দূরে ঠেলে দিতে চাইছে না নয়াদিল্লি। তাহলে কী, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যালেন্স পলিসি হামাস ইসরায়েল যুদ্ধেও? ২০১৮ র পর ২+২ ফরম্যাটে পঞ্চমবারের মতো বসলো ভারত যুক্তরাষ্ট্র। আর সেখানেই উঠে এলো বাংলাদেশ ও। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন, সেখানে ভোট যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় তা নিয়ে ওয়াশিংটন ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কাত্রা মিডিয়া ব্রিফিংয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার।
ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা সম্মান করি। বাংলাদেশের উন্নয়ন বা নির্বাচনের কথা যখন আসে, তখন এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করে। এককথায়, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব স্পষ্টভাবে নয়াদিল্লি নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট জানিয়ে দিয়েছে। তবে এর মাঝেও, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর। শুধু তাই নয়।
জেট ইঞ্জিন নির্মাণের বিষয়ে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড মানে হ্যাল-এর সঙ্গে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিকের একটা চুক্তি হয়েছে এই বৈঠকে। ভারতে জিই৪১৪ ইঞ্জিন তৈরি নিয়েই এই ডিল। এ ছা়ড়া আমেরিকা থেকে ৩১টি এমকিউ-৯বি রিপার ড্রোন আমদানির বিষয়টিও উঠে এসেছে রাজনাথ-অস্টিন বৈঠকে। চীনকে নজরে রেখে ভারত-আমেরিকা আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্যাও। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন বৈঠকে কানাডায় খলিস্তানি তৎপরতার মতো বিষয়েও হয়েছে আলোচনা।
চলতি পরিস্থিতির ভিত্তিতে এই বৈঠক গোটা অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যে টু প্লাস টু ফর্ম্যাটে একই সঙ্গে গুরুত্ব পেয়েছে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পদের জোগান এবং শিল্পবাণিজ্য।ৎমোদ্দা কথা, ভবিষ্যতের দিকে চোখ রেখে কাজ করতে দুই দেশই প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক শান্তি ও সৌহার্দ্য এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারত যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর। আজ এই বৈঠক কতটা সাকসেসফুল সেটা তো বলবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম