।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাস কী পাথড় হয়ে যাবে? গাজা ক্যাপচারের নকশা লুকিয়ে আমেরিকার মাটিতে? জানেন কোন খতরনাক বাহিনী নামানোর ছক কষছেন বাইডেন? ইসরাইলের লিমিটেড গ্রাউন্ড রেডে এতো বড় ফর্মুলা? হামাস নয়? কারা গাজার নিচে সুরঙ্গের ভেতর সাম্রাজ্য তৈরি করবে? কোন জালে জড়িয়ে গাজার ভবিষ্যৎ? সাঙ্ঘাতিক নকশা ফাঁস, দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় শুরু। এটাই তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মক্সদ? হামাসের জীবন নরক করার পর গাজার বুকে রাজত্ব করবে কারা? সবকিছু ঠিকঠাক? যুক্তরাষ্ট্রের মোক্ষম মাস্টারপ্ল্যান। দেখুন তলে তলে কতদূর এগোলো ইসরাইল। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে গাজায় ইসরায়েলের গ্রাউন্ড রেড সম্প্রসারিত হচ্ছে , তীব্র হচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল দুদেশ প্যালেস্টাইনি ছিটমহলের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে তা নিয়ে অলরেডি ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে।
হামাসের বিকল্প নিয়ে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। ভাবা যায়? পাশাপাশি গাজায় বিভিন্ন স্তরের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরের প্ল্যানিং ও রয়েছে যদিও গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এই আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু ব্লুমবার্গ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের সৈন্যদের সাহায্যে ওই অঞ্চলের দেশগুলোকে গাজার তদারকির অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এতে সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকবে। এতদূর এগিয়ে গেল পশ্চিমারা? তাহলে কি হামাস-নিকেশের পথ ইসরাইলের হাতের মুঠোয়, মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা ১৯৭৯ সালে ইসরায়েল এবং মিসরের স্বাক্ষরিত একটি শান্তি চুক্তির আদলে নতুন শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন করতে চায়। তাছাড়া, জাতিসংঘকেও গাজার ‘অস্থায়ী দেখভালের’ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু ইসরায়েল এতে বিশেষ আগ্রহী নয়।
মোদ্দা কথা,গাজার মাটির নীচে সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক থেকে হামাসকে উৎখাত করতে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ত্রুটি রাখছে না বা রাখবেনা সেটা একেবারে স্পষ্ট। আর একবার, হামাসকে ইসরায়েল সফলভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারলে গাজা উপত্যকার কন্ট্রোল নতুন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দিতে পারে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। চান্স বাড়ছে আর সব থেকে বড় খবরটা হল গাজার নিরাপত্তার জন্য যে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের কথা ভাবছে মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। সেই বাহিনীর অংশ হিসেবে গাজায় মার্কিন সৈন্যদেরও মোতায়েন করা হতে পারে। ব্লুমবার্গের এই রিপোর্ট ঘিরে চারিদিকে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল ব্লিঙ্কেনের কথাতেই। মার্কিন সিনেটের আপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটির শুনানিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, গাজার দায়িত্বে হামাসের আর থাকা চলবে না, কিন্তু ইসরাইলও গাজা পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায় না। এটা তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এই দুইয়ের মাঝে ‘বিভিন্ন সম্ভাব্য পয়েন্টগুলো’ তারা খুঁজে দেখছেন। ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হবে কার্যকর ও পুনরুজ্জীবিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষকে গাজা শাসনের দায়িত্ব দেওয়া। না হলে অন্যান্য অস্থায়ী ব্যবস্থা আছে। যেমন ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশকে যুক্ত করা। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও নিয়োগ করা। যারা নিরাপত্তা ও শাসন, উভয় ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বিরাট প্ল্যানিং করছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াই ইসরাইলের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য। তবে, পুরোটা এতো সহজ হবেনা নেতানিয়াহুর দেশের জন্য। কারণ হামাস গলা খুলে বলছে আল-আকসা ফ্লাড শুধু একবার করা হয়েছে এমন নয়। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারও করা হবে। তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! ৭ অক্টোবর আবারও হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম