।। প্রথম কলকাতা ।।
ঝলমলে চুল কে না চায় প্রত্যেকদিন নিয়ম করে চুল ধোয়া কন্ডিশনার লাগানো তেল দিয়ে মাসাজ করা সবাই তো করছি কিন্তু মাথার সামনের চুল কমে যাচ্ছে কেন? অনেকেই বলে থাকি যত চুল পেছনের দিকে সামনের চুল উঠে যাচ্ছে। সামনের অংশের কম চুলের জন্য হেয়ার স্টাইলিং করতে অসুবিধা হয়। আবার নিজের কনফিডেন্ট লেভেল টাও কমে যায়। চুল পড়া কমাতে বিশেষ কিছু পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ এই প্রতিবেদনে এরকম ৩ পাতার গুণাগুণ এবং ব্যবহার উল্লেখ করা হল। একটি হল জবা পাতা, বাকি দুটি পাতার নামও জেনে নিন।
ঘন-রেশমের মতো চুল পাওয়ার জন্য পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করা সত্যিই জরুরি? এর উত্তর হল, ‘না’! বরং, খুব সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে এবং উপযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই চুল ভালো থাকে। যেমন, হাতের কাছেই পাওয়া যায় পরিচিত কয়েকটি পাতা, যেগুলি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলের জেল্লাও বাড়ায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জবা ফুল এবং জবার পাতার নির্যাস চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-এর সন্ধান পাওয়া যায়। জবা পাতায় বিটা ক্যারোটিনের সন্ধান মেলে। চুলের জেল্লা ধরে রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। এক মুঠো জবার পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। জবা ফুলের পাপড়িগুলি ছাড়িয়ে নিন। এই দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে তৈরি করুন আপনার হেয়ার মাস্ক। উপকার পাবেন। কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সন্ধান মেলে, যা নানা ভাবে চুলের উপকারে লাগে। এছাড়াও আছে প্রোটিন ও বিটা ক্যারোটিন।অতিরিক্ত চুল পড়া কমায়। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করে।
মেথি দানা এবং আমলকির সঙ্গে কারি পাতা মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার মাস্ক। একটি পাত্রে আধ কাপ করে কারি পাতা ও মেথি দানা নিন। এর সঙ্গে আমলকির শাঁস মেশান। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। পরিমাণ মতো জল মেশাতে ভুলবেন না। আপনার হেয়ার মাস্ক তৈরি। এটি আপনার চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’ বইতে কেশুতি পাতার গুণাগুণের উল্লেখ পাওয়া যায়। কেশুতি পাতা বা ভৃঙ্গরাজ স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। অতিরিক্ত চুল ওঠা বন্ধ করে।
কেশুতি পাতা বা ভৃঙ্গরাজের তেল ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এছাড়াও কেশুতি পাতা বেটে সেই রস চুলের গোড়ায় ও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। জেনে নিন ভৃঙ্গরাজের তেল বানানোর নিয়ম – একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন। হালকা থেকে মাঝারি আঁচে গরম করুন। এর সঙ্গে মেশান কেশুতি পাতা। মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ ফুটানোর পরে তেলের রং বদলাতে শুরু করবে। এরপর আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন, তাতেই উপকার পাবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম