।। প্রথম কলকাতা ।।
শীতে আদ্রতার অভাবে চুল হয়ে পড়ে শুষ্ক, রুক্ষ এই মরশুমে চুল জেললা হারিয়ে ফেলে বাড়ে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যা। শীতকালে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যা রাতে গেলে কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনাকে অবশ্যই নজর রাখতে তবেই পাবেন কিন্তু মসৃন চুল। গরম জলে স্নান করার প্রবণতা বাড়ে শীতে এর ফলে কিন্তু চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা তা কমে যায়। আসলে শীতের শ্যাম্পু করার কথা ভাবলে গায়ে জ্বর আসে। আবার চুল পরিষ্কার না করলেই তো মাথায় জমবে নোংরা। এলোমেলো চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে দারুন কার্যকরী নারকেল তেল। একটি চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আর্দ্রতার যোগান দেয়।
এছাড়াও চুলে নিজস্ব যে তেল রয়েছে তা ধরে রাখে এবং কন্ডিশনার হিসেবে দারুন কাজ করে। একইভাবে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারে। নারকেল তেল হালকা হওয়ায় আপনি চাইলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।শীতে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কমতে শুরু করে যার ফলে প্রভাব পরে স্ক্যাল্পে। ঠিক ত্বক তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা খোয়াতে শুরু করে তেমনি রুক্ষ হয়ে উঠে মাথার চুল। ফলে চুল খুব সহজে ফ্রিজি ও শুষ্ক হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো রাখতে এই শীতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই গ্রহণ করা প্রয়োজন। সঙ্গে পাতে রাখা উচিত কাঠবাদাম আমন্ড ফ্ল্যাক সিড সানফ্লাওয়ার সিড।
অত্যন্ত গরম জলে চুল ধোবেন না। এতে আপনার চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বেরিয়ে যাবে। তাই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। পরিবর্তে হালকা গরম জলে স্নান করবেন।
এছাড়াও শ্যাম্পু করার পরে চুলে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। চুলে কন্ডিশনার লাগানোর পরে দু মিনিট অপেক্ষা করুন এবং হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চুলের থ্রিজি ভাব কাটানোর জন্য শ্যাম্পু করার পর চুলে ক্রিম বা সিরাম লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে রাতে শোয়ার সময় এই ক্রিম বা সিরাম লাগিয়ে নিতে পারেন।
চুলে ঘনঘন ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। একান্তই ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করতে হলে কুল মুডে রেখে ব্যবহার করুন।
চুলের স্ট্রেটনার এর মত কোন হেয়ার টুল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হিট প্রোটেক্টিং সিরাম লাগিয়ে নেবেন। এই শীতে যেকোনো হেয়ার টুল যত কম পরিমাণে ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন রয়েছে যা চুলের জন্য খুব ভালো। তাই এগ মাস্ক চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। একটি পাত্রে ডিম নিয়ে তাতে টক দই লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর সেটা ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় লাগিয়ে নিন। ঘন্টা খানেক মাথায় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ ও অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি আপেল সিডার ভিনিগারে পিএইচ লেভেল বেশি থাকায় এটি চুলের সিল্কি ও শাইনিভাব বাড়িয়ে তোলে। শ্যামপুর পর এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ও এক কাপ জল মিশিয়ে নিন। শ্যামপুর পরেই মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে মাথার ডগা পর্যন্ত ভালো করে মালিশ করে নিন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এইভাবে শীতে ফ্রিজে চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল থাকবে একদম সফট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম