।। প্রথম কলকাতা ।।
Cauliflower: শীতকাল এলেই বেশ কিছু সবজি দেখতে পাওয়া যায় বাজারে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল ফুলকপি। আমরা সাধারণত সাদা ফুলকপি দেখতেই অভ্যস্ত। কিন্তু বর্তমানে মার্কেটে এসেছে গোলাপি, হলুদ এবং কমলা রঙের ফুলকপি। না, এগুলি কোনভাবেই রঙ করা হয় না। এদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদানের কারণে এই ধরনের রঙ হয় ফুলকপি গুলির। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা রয়েছে অতিরিক্ত রঙচঙে সবজি ভালো হয় না। সেই সকল সবজিতে অনেক সময়ই রঙ মেশানো হয়ে থাকে। তবে এই রঙিন ফুলকপি গুলির জাতিই এইরকম। আর প্রত্যেকটি রঙের ফুলকপির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ। যার কারণে বর্তমানে চাহিদা বেড়েছে এই ফুলকপির।
কেন চাষ করবেন রঙিন ফুলকপি ?
কৃষক ভাইয়েরা যারা শীতকালে ফুলকপি চাষ করে থাকেন তাঁরা পরীক্ষামূলকভাবেই রঙিন ফুলকপি চাষ করে দেখতে পারেন। এই রঙিন ফুলকপি চাষ করা অভিজ্ঞ কৃষকদের কথায়, তাঁরা কম খরচে বেশি লাভ পেয়েছেন এর থেকে। বিশেষ করে গোলাপি এবং হলুদ রঙের ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা বাজারে। উৎপাদন খরচ একেবারে সাদা ফুলকপির মত। কিন্তু রঙিন হওয়ার কারণে মার্কেটে এর দাম বেশি। জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফুলকপির ফলন দারুন হয় বলে জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ কৃষকরা। পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই রঙিন ফুলকপি ভীষণভাবে উপকারী। তাই বাজারে এর চাহিদা যে ক্রমশ বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
কোন রঙের ফুলকপির কী গুণ জানেন ?
* কমলা ফুলকপি : এই ধরনের ফুলকপি শেডার ফুলকপি নামেও বেশ পরিচিত। এটি হাইব্রিডাইজড জাতের। এর রঙ হয় উজ্জ্বল কমলা। কারণ এই ফুলকপিটিতে বিটা ক্যারোটিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।
* বেগুনি ফুলকপি : এই ধরনের ফুলকপিতে থাকে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ । যা অতি স্বাস্থ্যকর। এছাড়াও বেগুনি রঙের এই সবজিতে জলে দ্রবণীয় রঞ্জক থাকে।
* বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইব্রিড এই ফুলকপি গুলির পুষ্টিমান খুব বেশি। এই রঙবেরঙের ফুলকপি গুলিতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং ক্যান্সার বিরোধী বহু পুষ্টিগুণ। এছাড়াও সাধারণ সাদা ফুলকপি কিংবা ব্রকোলির থেকে এই ফসলে ভিটামিনের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। ভিটামিন এ আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষিত করে। ফ্লু থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী।
কেমন দামে বিকোয় বাজারে ?
এই ধরনের রঙিন ফুলকপি আবিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও এই পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পরবর্তীতে বীজ তৈরি করতে যখন সফলতা মেলে এরপর সেই বীজ গুলি বেশ কয়েকটি দেশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ভারতেরও বহু কৃষক এই রঙিন ফুলকপি চাষের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের বহু কৃষকের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে এই রঙিন ফুলকপির বীজ। কাজেই লাভবান ফুলকপি চাষি হতে চাইলে নিজের জমির কিছু অংশ এই রঙিন ফুলকপি চাষ করতেই পারেন কৃষক বন্ধুরা। গত বছরে নাসিকের মহেন্দ্র নিকম নামে এক কৃষক রঙিন ফুলকপির বীজে ফসল ফলান এবং তা বিক্রি করেন ১৬ লক্ষ টাকা। যেখানে তাঁর চাষ করতে খরচ হয়েছিল মাত্র ২ লক্ষ টাকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম