।। প্রথম কলকাতা ।।
আপনি কি সুন্দরবন বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। জানার জন্য মন উশখুশ করছে নিশ্চয়ই! হওয়াই কথা, কারণ, ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় সুন্দরবন। পুজোর ছুটি বা শীতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যে পাড়ি জমান অনেকেই। তবে অনেকের কাছেই সুন্দরবন যাওয়া যথেষ্ট ঝক্কির। আবার তা সময়সাপেক্ষও বটে। ট্রেন বা বাসে যাওয়ার পর লঞ্চে চাপতে হয় সুন্দরবনে পৌঁছতে হয়। কিন্তু আপনি যদি সরাসরি রেলপথে সুন্দরবনে পৌঁছে যেতে পারেন তবে কেমন হয়! তাতে প্রাকৃতিক বিস্ময় সুন্দরবন ভ্রমণ আপনার পক্ষে অনেকটাই আরামদায়ক হবে। পৌঁছে যেতে পারবেন চটজলদি। তেমনই উদ্যোগ নিচ্ছে রেল।
দিন যত এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রী সংখ্যা।এই অবস্থায় সঠিক যাত্রী পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হয়েছে রেল। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে রেলপথকে গতিশীল করার ওপর। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বন্দে ভারতের মতো সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের পরিষেবা। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন যাত্রীরা। এবার রেলপথ সম্প্রসারণের দিকেও যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে।ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রুট। এই আবহেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে জমি জটের কারণে রাজ্যের রেল প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর ফলে থমকে থাকা প্রকল্পগুলি এবার বাস্তবায়িত হবে।
তার জেরে পর্যটকদের কলকাতা থেকে সরাসরি সুন্দরবন যাওয়া আরও সহজ হবে। রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গেও এবার রেলপথে জুড়ে যাবে এই পর্যটন স্হল। ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে চাইছে রেল মন্ত্রক। একই সঙ্গে ভাঙ্গনখালি থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজও হবে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট তিনটি পর্যায়ে এই রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হবে। যার দূরত্ব ৪.৮৪ কিলোমিটার।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাঙনখালি থেকে সরাসরি বাসন্তী পর্যন্ত মোট ১৪.৩০ কিলোমিটারের রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে বাসন্তী থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। যেটির দূরত্ব হল ২৩ কিলোমিটার। প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে সেক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হবে নতুন রেল রুট।রেলমন্ত্রীর পাঠানো ওই তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা। রেলের আশা, লাইন যত সম্প্রসারিত হবে ততই বাড়বে যাত্রী সংখ্যা, বাড়বে আয়। সরাসরি সুন্দরবন রেল পথে যুক্ত হলে বাড়বে পর্যটক, বাড়বে কর্মসংস্থান। বদলে যাবে সুন্দরবনের আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম