।। প্রথম কলকাতা ।।
এবার কি পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী? মাটির ঠেলে উঠছে, ফুটন্ত লাভার স্রোত। বিশ্বজুড়ে দফায় দফায় সুনামি নাকি ভূমিধস? ভয়ানক চক্রব্যূহ প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার”, পৃথিবীর অতল গহ্বরে তোলপাড় শুরু? এই মহাপ্রলয়েই সূর্য-চন্দ্রের যুগ শেষ হয়ে যাবে? কি ঘটতে যাচ্ছে? কোন ভয়ংকর ইঙ্গিত দিচ্ছে পাপুয়া নিউগিনির স্যাটেলাইট ইমেজ? কোন কোন দেশ ম্যাপ থেকে পুরো গায়েব হয়ে যাবে? কোথায় কোথায় জারি হল রেড অ্যালার্ট? কোন ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে? পাপুয়া নিউগিনির উলাউন আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদগীরণ টা একবার দেখুন, টেনশন বাড়ছে।এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এর এফেক্টে আছড়ে পড়তে পারে সুনামি। জাপান আবহাওয়া সংস্থা বলছে, জাপান রিস্কে আছে। সুনামির চান্স আছে। সেক্ষেত্রে সমুদ্রের তলার সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চান্স কতটা?ইন্টারনেট সংযোগ ফোন সার্ভিসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে কি?
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে Volcanic Ash Advisory Center মোতাবেক পাপুয়া নিউ গিনির নিউ বৃটেন দ্বীপের মাউন্ট উলাউন থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। পৃথিবীর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম একটি ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট উলাউন। পাপুয়া নিউগিনির প্রাদেশিক রাজধানী কিম্বের কাছাকাছি অবস্থিত এই ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই, ফুটন্ত গরম লাভার স্রোত, কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে। এলাকার বহু মানুষ প্রাণভয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। কালো ধোঁয়া প্রায় ১৫ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত উঠেছে। সেই অগ্ন্যুৎপাতের ছবি নাসার স্যাটেলাইট ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তারপর থেকেই বিষয়টা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। পাপুয়া নিউগিনির ছবি উদ্বেগ উৎকন্ঠ বাড়াচ্ছে। কারণ, পাপুয়া নিউগিনির উলাউনের অগ্নুৎপাতটা অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগ্নেয়গিরির ঝুঁকিকে সর্বোচ্চ চতুর্থ স্তরে উন্নীত করা হয়েছে।
মনে করিয়ে দিই উলাউন পাপুয়া নিউ গিনির অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, যেটি প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার”-এ অবস্থিত! এটি প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে সিসমিক ফল্ট অঞ্চল যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে Volcanic Ash Advisory Center বলছে, জাপানে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে, ঝুঁকি আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রথম সুনামির ঢেউ ইজু এবং ওগাসাওয়ারা দ্বীপে পৌঁছতে পারে অগ্নুৎপাতের কারণে সৃষ্ট কম্পনের কারণে। যদিও সংস্থাটি সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করেনি। তারা বলছে, জাপানে সমুদ্রপৃষ্ঠের কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এখনো লক্ষ্য করা যায়নি। পাপুয়া নিউ গিনির জিওহজার্ডস ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন ও অগ্নুৎপাত এর বিষয়টার দিকে কড়া নজর রাখছে।
উলাউন ঘিরে চারিদিকে হুলস্থুল পড়ে গেছে। এই প্রথম তো নয়, ১৭০০ সাল থেকে উলাউন বারবার বিস্ফোরিত হয়েছে এবং ২০১৯ সালে সর্বশেষ বড় অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। কাট টু ২০২৩। সরকারি সংস্থা জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় সুনামির কোনো সতর্কতা নেই। হাওয়াই ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র কোনো সতর্কতা জারি করেনি। তবে সুনামির আশঙ্কা করে উপকূলীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম