।। প্রথম কলকাতা ।।
Paracetamol: সামান্য জ্বর মাথাব্যথা,পায়ে ব্যাথা বা হাতে ব্যাথায় প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? নিজের কতটা ক্ষতি করছেন তা কি জানেন আপনি! অনেকেরই ধারণা প্যারাসিটামলে কোনও সাইড এফেক্ট নেই। এটা যে কতটা ভুল ধারণা তা কি আপনার জানা আছে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নিজের সিদ্ধান্তে তখন তড়িঘড়ি প্যারাসিটামল খান অনেকেই। কিন্তু আপনি জানেন কি প্রত্যেক ওষুধের যেমন নির্দিষ্ট ডোজ রয়েছে তেমনই কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই হুড়োহুড়ি করে ওষুধ খাওয়া মোটেই শরীরের জন্য ভালো নয়। সামান্য জ্বর, সর্দি কিংবা মাথাব্যথা হলেই নিজের সিদ্ধান্তে প্যারাসিটামল আর নেবেন না। কেন জ্বর, কোন কারণের জন্য জ্বর তা আগে জানতে হবে। তা না করে মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খেলে কিন্তু হতে পারে ঘোর বিপদ!
মনে রাখুন, কোনও ওষুধই সম্পূর্ণ ‘সেফ’ বা ‘নিরাপদ’ নয়।চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন কোনও ওষুধ নেই যার কোনও খারাপ প্রতিক্রিয়া নেই। তেমনই প্যারাসিট্যামলও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কম ক্ষতিকর মানেও কিন্তু সে ক্ষতি করে। তবে কম। আর এই কম ক্ষতির নিদান না মেনে মুড়িমুড়কির মতো তা খেয়ে গেলে ফল মারাত্মক হতে পারে। ঠিক সময়ে, ঠিক ডোজ এবং নির্দিষ্ট সময়ের গ্যাপেই তা দিতে হবে। মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খাওয়া পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক ও ক্ষতিকর। ছোটদের তো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ দেওয়াই উচিত নয়।প্যারাসিটামল কি কি ক্ষতি করে জানুন।
এই ওষুধ ব্যথা, জ্বর, প্রদাহজনিত ফুলে যাওয়া কমায়।আমাদের দেশে যেমন এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় জ্বর কমানোর জন্য। বিদেশে আবার ব্যথা কমানোর ওষুধ হিসেবেই এর ব্যবহার বেশি। প্যারাসিটামল শরীরে কেমন ভাবে কাজ করে? আর পাঁচটা ওষুধের মতো প্যারাসিটামল খাওয়ার পর পাকস্থলীতে পৌঁছে গুলে যায়। তারপর পাকস্থলী থেকে তা রক্তে মিশে যায়। সেখান থেকে রক্ত প্রথম যায় লিভারে। তারপর লিভার থেকে তা হার্টে পৌঁছয়। প্যারাসিটামল সেই পোস্টাগ্ল্যান্ডিনের বৃদ্ধিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে জ্বরকে কমিয়ে ফেলে।
বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
প্যারাসিটামল অনেক সময়ই বমিভাব বাড়ায়। মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে পেটের উপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। পেটের ভেতর রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। এছাড়া মেটাবলিজমের মাধ্যমে প্যারাসিটামল ভেঙে গেলে অসংখ্য বিপাকীয় উপাদান তৈরি করে রক্তের মধ্যে। তার মধ্যে কিছু জিনিস লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কিডনির ক্ষতি করে। এক সময় মুড়িমুড়কির মতো প্যারাসিটামল খেলে রোগীর ডায়ালিসিস পর্যন্ত করতে হয়। যাঁরা অতিরিক্ত অ্যালকোহলিক, তাঁদের লিভারের ফাংশন এমনিই খারাপ থাকে। তাই এর ওপর মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল দিলে লিভার আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লিভারের টিস্যুর গঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ ছাড়াও এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। প্যারাসিটামলের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে হেপাটাইটিস, ক্যান্সার এবং সিরোসিসের রোগীদের মতো ক্ষতি হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। প্রতিটা ড্রাগের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডোজ আছে। শারীরিক ওজনের ওপর নির্ভর করে তা ঠিক হয়। এখানেই চিকিৎসকের কেরামতি। প্যারাসিটামলের ক্ষেত্রেও তাই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম