।। প্রথম কলকাতা ।।
Microchip: মাইক্রোচিপ তো চেনেন। মোবাইল ফোনের সিমকার্ডের মতোই দেখতে। সেই মাইক্রোচিপ মানুষের মাথায় বসানো হলে কেমন হয়? ভাবছেন এও কি সম্ভব। তাহলে জেনে রাখুন, এবার তেমনটাই হতে চলেছে। এতে রাতারাতি বদলে যাবে কোটি কোটি মানুষের জীবন। মাথায় ছিদ্র করে ব্রেনের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হবে মাইক্রোচিপ। ব্লু টুথের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে চিপের। ইলন মাস্ক এমনই একটি প্রজেক্ট শুরু করেছেন। তা সফল হলে তার ফল হবে যুগান্তকারী।
ইলন মাস্ক যে দিকেই হাত দেন, তাতেই সোনা ফলে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোক বা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি। মাস্কের কঠোর পরিশ্রমে প্রতিটি প্রকল্পই সফল হয়। এবার তাঁর পরিকল্পনা, হলিউডের কল্প বিজ্ঞানের সিনেমাকেও হার মানাবে। এটি সফল হলে কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে যাবে। আর তা সফল হওয়ার সম্ভাবনাই ষোল আনা – এমনটাই মনে করা হয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি বাঁদরের মস্তিষ্কে স্থাপন করে সাফল্য মিলেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, মাস্কের এই প্রকল্পে মানুষের মস্তিষ্কে একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো হবে। এই চিপের সাহায্যে মানুষ এমন নতুন শক্তি পাবে যা তাদের জীবন বদলে দেবে। এই চিপটি এমন কিছু ব্যক্তির মস্তিষ্কে স্থাপন করা হবে, যারা কোনও না কোনওভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। যাঁরা দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রতি মুহূর্তে অসুবিধার সম্মুখীন হন তাঁদের উপকারে ব্যবহৃত হবে এই প্রযুক্তি।
মিলেছে সবুজ সংকেত। মানুষের মাথায় এই চিপের প্রথম পরীক্ষা চালানোর জন্য ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ তাদের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। মাস্কের ইমপ্লান্ট সংস্থা নিউরালিঙ্ক। তারা এই চিপের মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে মানব মস্তিষ্ককে যুক্ত করবে। তাতে মানুষের দৃষ্টিশক্তি এবং গতিশীলতা ফিরে আসবে। প্যারালাইসিস এবং অন্ধত্বের চিকিৎসা করতে মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে তারা। এবার মস্তিষ্কে বসানো চিপের মাধ্যমে এই সব রোগে আক্রান্ত মানুষের জীবন আর পাঁচজন মানুষের মতোই স্বাভাবিক পথে ফিরে আসতে পারবে।
কিভাবে কাজ করবে এই মাইক্রোচিপ?
প্রথমে সে মস্তিষ্কের পাঠানো সংকেতগুলিকে ডিকোড করবে। এরপর ব্লুটুথের মাধ্যমে ডিভাইসগুলিতে সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই ভাবেই নকশা করা হয়েছে মাইক্রোচিপগুলি।সম্প্রতি সুইস গবেষকরা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত পরীক্ষায় দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন তারপরই মানুষের মাথায় মাইক্রোচিপ লাগানোর এই পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিল এফডিএ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম