।। প্রথম কলকাতা ।।
Winter Diet for Kids: শীত মানে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন, যা সরাসরি প্রভাব ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়( immunity power)। এই সময় ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যা লেগেই রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় থাকেন মা। তবে শীতের শুরু থেকেই যদি শিশুর খাবারের তালিকার দিকে একটু বিশেষ নজর দেন তাহলে জ্বর সর্দি কাশির মতো রোগ সহজে আপনার শিশুকে কাবু করতে পারবে না। আসলে এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটাই আসল। যার ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি সে অনায়াসেই এই ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারবে। শীতে শিশুদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। সাধারণত শিশুরা বেশিরভাগ সময় মায়ের কাছেই থাকেন। শিশু কি খাচ্ছে আর কি খাচ্ছে না, সেদিকে মায়ের নজর দেওয়া অবশ্যই দরকার।
ঠাণ্ডা বাতাস এড়াতে গরম কাপড় পরলেই যথেষ্ট নয়, খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। ঠাণ্ডার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের সর্দি, কাশি ও সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই মোরসুমে শিশুদের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। বিশেষ করে শীতকালে (winter season) শিশুকে ঠিক কোন কোন খাবার খেতে দেবেন এক নজরে দেখে নিন।
(১) গুড়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যা শিশুদের জন্য উপকারী। আপনি খাবার প্লেটে চিনির জায়গায় গুড় ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন শিশুদেরকে সীমিত পরিমাণে গুড় দিতে হবে।
(২) শীতকালে শিশুদের অবশ্যই স্যুপ(soup) দেবেন। সবজির স্যুপ বানিয়ে দিতে পারেন। স্যুপ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকরও বটে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গরম স্যুপ খেতে মন্দ লাগে না। শিশু যদি নন-ভেজ খায়, তাহলে তাকে চিকেন স্যুপও (chicken soup) দেওয়া যেতে পারে। স্যুপ খেলে শরীর ভিতর থেকে গরম থাকে এবং বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায়।
(৩) ডিমে(Egg) প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। শীতকালে শিশুদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত সেদ্ধ ডিম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
(৪) গাজর(carrot) পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়, যা সংক্রমণ ও অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করে। গাজরের স্বাদেও মিষ্টি। আপনি চাইলে গাজরের পুডিং বানিয়ে শিশুকে দিতে পারেন। শিশুরা মূলত এই ধরনের পুডিং বেশ পছন্দ করে। এছাড়াও এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
(৫) শীতকালে শিশুদের হলুদ দুধ খাওয়াতে হবে। এটি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। দুধের সঙ্গে একটু হলুদ মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদ দুধ। দুধের সঙ্গে ঠিক কতটা পরিমাণে এবং কেমন গুণমানের হলুদ মেশাচ্ছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৬) আমলায় রয়েছে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রান্না করা আমলা বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে। যদি ইচ্ছা হয়, এর মোরব্বা শিশুদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম