।। প্রথম কলকাতা ।।
Cholesterol: কোলেস্টেরল (Cholesterol) মানে হল রক্তে (Blad) চর্বি বা ফ্যাটের (Fat) পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এখন কম বেশি অনেকেই কোলেস্টরল (Cholesterol) সমস্যায় ভুগছেন। বেশি পরিমাণে চিনি, চর্বি, ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেহে ভাল-খারাপ দু’ধরনেরই কোলেস্টেরল থাকে। ‘এইচডিএল’ ও ‘এলডিএল’, মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেশি ।
রক্তে যদি খারাপ কোলেস্টেরলের (Cholesterol) পরিমাণ বাড়তে থাকে তাহলে শুরু হয় নানান শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকের মতে, মহিলাদের ঋতুচক্র শুরু, সন্তানধারণ এবং ঋতুবন্ধ – এই তিনটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হরমোন। মহিলাদের ঋতুবন্ধের সময় এসে পৌঁছালে ‘ইস্ট্রোজেন’ হরমোনের ক্ষরণ কমতে থাকে। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ফলে স্ট্রোক (Stroke), হার্ট অ্যাটাক (Heart attack), শ্বাসকষ্টর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খারাপ কোলেস্টেরকে (Cholesterol) নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন যেমন:
- পুষ্টিকর খাবার খান। চিনি, ফ্যাট, চর্বি জাতীয় খাবারগুলি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন।
- ৪০ হলেই নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে হবে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে সকাল বিকাল ৩০ মিনিট করে শরীর চর্চা করুন।
- বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী বিএমআই বা ‘বডিমাস ইনডেক্স’-এর মান যেন ২৫-এর মধ্যে থাকে।
কোলেস্টেরলের লক্ষণ:
চিকিৎসকের মতে, শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কিনা তা বুঝতে সব সময় রক্তপরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। বরং কিছু উপসর্গ দেখলে বোঝা যায় শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে কি না। যেমন-
- চোখের পাশে বা চোখের পাতায় হালকা হলুদ রঙের ব্যাথাহীন ফোলা অংশ দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।
- মাঝে মাঝেই বুকে ব্যাথা হচ্ছে কিন্তু ইসিজি রিপোর্ট তেমন কিছু আসছে না। এটিও কোলেস্টেরল একটি লক্ষণ হতে পারে।
- কোলেস্টেলের কারণে ঘাড়ে বা মাথার পিছনে একটানা ব্যথা হতে পারে।
- চোখের মনির চারপাশে ধূসর রঙে গোল দাগ দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম