।। প্রথম কলকাতা ।।
Winter Drawback : বঙ্গে প্রায় জাঁকিয়ে বসেছে শীত, এ কথা এখন বলাই যায়। এরকম আবহাওয়ায় সকাল দুপুর বিকেল যখনই কিছুটা ফাঁকা সময় মিলছে চোখের পাতায় ভিড় করে আসছে ঘুমেরা। বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন, ঋতু চক্রের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের শারীরিক এবং মানসিক একাধিক পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। এই শীতকালে বেশি ঘুম (Sleep) পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এই রকমই কোন কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন শীতকালে বেশিরভাগ মানুষেরই অতিরিক্ত ঘুম বা ঝিমুনি ভাব আসে।
১. ভিটামিন ডি এর অভাব : ভিটামিন ডি (Vitamin D) আমাদের শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী তা আলাদা করে বলার মত প্রয়োজন নেই । আর এই ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল সূর্য অর্থাৎ সূর্যের আলো। কিন্তু শীতকালে ঘর থেকে বেরোতেই খুব একটা ভালো লাগে না। যাদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় তাঁরা বাইরে বেরোতে একপ্রকার বাধ্য। কিন্তু যাদের এইরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই তাঁরা সাধারণত শীতকালে ঘরের মধ্যে দরজা-জানলা বন্ধ করে কাটাতেই ভালোবাসেন । এই কারণে তাদের শরীরে শীতকালে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখতে পাওয়া যায়। অবশ্য সামুদ্রিক তেল যুক্ত মাছ, ডিম এই ধরনের খাবারগুলি খেলে ভিটামিন ডি মেলে শরীরে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ মত খাওয়া যেতে পারে ভিটামিন ডি এর ওষুধ।
২. ঘুমের ঘাটতি : যেকোনো মানুষের জন্য দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘন্টার ঘুম প্রয়োজন । কিন্তু এই ঘুম যদি সঠিক না হয় তাহলে সারাদিন একটা ঘুম ঘুম ভাব থেকেই যায়। তাই স্লিপ সাইকেল (Sleep Cycle) পূরণ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বেশি। সারাদিনে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে যে কোন মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি তাঁর মেজাজ বিগড়ে থাকতে পারে।
৩. সূর্যের আলোর অভাব : শীতকালে যে দিন ছোট আর রাত বড় হয় এটা প্রায় সকলেরই জানা। দিন ছোট হওয়ার কারণে খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নেমে আসে। সেইভাবে সূর্যের আলো আমাদের শরীর পায় না। সূর্যের আলোর ঘাটতির (Lack Of Sunlight) কারণে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যায়। আর এই হরমোনটি যে কোন মানুষের শরীরের একটা ঝিমুনি ভাব এনে দিতে পারে । কারণ এই হরমোনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে আলো-আঁধারের। শীতকালে সারাদিনে খুব বেশি ঘুম পাওয়ার এটা একটা অন্যতম কারণ।
এই সমস্যা দূর করতে কী কী করতে পারেন ?
- রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কোনো খাবার খান। ভারী খাবার খেলে শরীর ভারী হয়ে থাকে। সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। সে ক্ষেত্রে যদি হালকা খাবার খেয়ে ঘুমান তাহলে এই ধরনের সমস্যা দেখতে পাওয়া যাবে না।
- আপনি যদি ফোন বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন তাহলে সেটা নিজে থেকে কিছুটা দূরে রাখুন । যাতে অ্যালার্ম বাজলেই আপনাকে বিছানা ছেড়ে উঠে তারপরে বন্ধ করতে হয়।
- কোনভাবে সকালে ঘুম ভেঙে গেলে কিছুতেই বিছানায় শুয়ে থাকবেন না। সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ুন। এই অভ্যাস তৈরি করতে পারলে ঘুম থেকে না উঠতে পারার মতো সমস্যা আর ভোগাবে না আপনাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম