।। প্রথম কলকাতা ।।
Glass Skin: একদম ফ্রিতে পাবে গ্লাস স্কিন, চকচক করবে আপনার মুখ। দেখতে লাগবে কোরিয়ানদের মতো। না কোন সার্জারির প্রয়োজন নেই, কিংবা কোন নামিদামি পার্লারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হবে না। দরকার নেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। আপনার হেঁসেলের কয়েকটা জিনিস দিয়েই পাবেন কোরিয়ানদের মতো চকচকে ত্বক। হাঁ হয়ে দেখবে সবাই। অবাক হবেন না, ব্যাপারটা অসম্ভব কিছুই নেই। আপনাকে বলতে চলেছি, কিছু ম্যাজিক ফেসপ্যাকের কথা। শেষ পর্যন্ত পুরোটা পড়ুন। মিস করবেন না।
বর্তমানে কোরিয়ানদের মেকআপ টিপস ভারতে বেশ জনপ্রিয়। বিটিএস কিংবা ব্ল্যাক পিঙ্কের ফ্যান সংখ্যা নেহাত কম নয়। কোরিয়ান স্কিনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। কোরিয়ানদের ফর্সা চকচকে স্বচ্ছ ত্বক বিশ্ব বিখ্যাত। কে না পেতে চায় বলুন তো? অনেকটা যেন রূপকথায় পড়া গল্পের মতো। বাড়ি বসেই পাবেন এমন সুন্দর মোলায়েম গ্লাস স্কিন। ফেসিয়াল, ফেসওয়াশ বা ব্লিচ নয়। কামাল ছোটাবে ঘরোয়া টোটকা। সবার রান্না ঘরে কমবেশি আলু থাকে। আলুর রসের সঙ্গে গোলাপ জল, চালের গুঁড়ো, কাঁচা দুধ আর অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো হয়, যদি গ্রেট করা আলুর সঙ্গে মধু আর চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে কুড়ি মিনিট লাগিয়ে রাখেন দেখবেন ত্বক হবে ঝকঝকে পরিষ্কার। থমকে যাবে ত্বকের বয়স।
দ্রুত গ্লাস স্কিন পেতে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ সিরাম। একটু অ্যালোভেরা জেল, হলুদ আর গ্লিসারিনের মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ ফ্রিজের সংরক্ষণ করতে পারেন সাত দিন পর্যন্ত। মাখতে হবে একদিন অন্তর। দেখবেন ধীরে ধীরে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হচ্ছে। কমছে দাগছোপ। বাড়িতে চাল থাকবে না এমনটা হতেই পারে না। কোরিয়ানরা কিন্তু মুখে চাল ধোয়ার জল ব্যবহার করে থাকেন। চাল ধোয়ার পর সেই জল ফেলে দেবেন না। প্রথমে ৩০ মিনিট চাল ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন ফ্রিজে। যখন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন টোনার হিসেবে।
তবে শুধু ঘরোয়া ফেসপ্যাক কিংবা সিরাম ব্যবহার করলেই হবে না। ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন। মেঘলা আকাশ হোক কিংবা ঘরের মধ্যে থাকুন না কেন সানস্ক্রিন ক্রিম কিন্তু অবশ্যই মাখতে হবে। রাতে অবশ্যই ডবল ক্লিনজিং করবেন। কারণ সারাদিনে আপনার ত্বকে ময়লা জমে , তার উপর রয়েছে মেকাপের নানান ক্রিম। তাই ওয়াটার বেস ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়াই ভালো। ক্লিনজিং এর পর ব্যবহার করুন টোনার, যা আপনার ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা ধরে রাখবে। ঘরোয়া টোনার কিংবা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকেরও কিন্তু কিছু চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজার। মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতে পারেন আই ক্রীম আর শিট মাস্ক। অবসাদ থেকে দূরে থাকুন। মন ভালো রাখুন। হাসুন আর প্রচুর পরিমাণে জল খান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। দেখবেন ত্বকের বয়স এমনি থেকেই কমছে।
(প্রতিবেদনের এই তথ্যগুলো সাধারণ ধারণার জন্য। কোন চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম