।। প্রথম কলকাতা।।
Madhya Pradesh Election Result: মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্রিশগড় ভোটের ফলে যত স্পষ্ট হয়েছে যে, বইতে দেখা গেছে গেরুয়া ঝড়, আর ঠিক তত বার নেতাদের মুখে উঠে এসেছে মোদী-নাম। বেলা বাড়তেই বেড়েছে উচ্ছ্বাস, উদযাপন। চার রাজ্যের মধ্যে বিজেপি কার্যত জয়ী তিন রাজ্যে। মধ্য প্রদেশে সকাল থেকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলেছিল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। ছিল টান টান উত্তেজনা এবং তার সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তিন রাজ্য ছাড়াও, দেশের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস। উড়ছে গেরুয়া আবীর। চার রাজ্যের মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মাফিক বেছে নিয়েছেন আগামী ৫ বছরের জন্য একটি রাজনৈতিক দলকে। কোন রাজ্যের মানুষ কোন দলের ওপর আস্থা রাখলেন ধীরে ধীরে সকলের চোখের সামনে স্পষ্ট হয়েছে সেই ছবি। মধ্যপ্রদেশে চতুর্থবার ক্ষমতা হাসিল করল বিজেপি। মাঝে দুই বছর গদিতে কংগ্রেস থাকলেও। বিগত দুই দশক ধরে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের কাছে বিজেপি হেরেছিল ২০১৮ সালে। তবে অঙ্কের বদল ঘটে পরবর্তীতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শিবির বদল করায়। পতন ঘটে কমল নাথের সরকারের। চতুর্থবারের মতো শিবরাজ সিং চৌহান মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পঞ্চমবারের জন্যও কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবরাজ? মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জয়ের পিছনে এই কৃতিত্বই বা কার?
এবার মধ্যপ্রদেশে বিজেপি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে টিকিট দিয়েছিল। পুনরায় মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া শিবির জয় হাসিল করায়, বিজেপি সরকার গঠনের সময় শিবরাজকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের টিকিটের তালিকায় ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও। তাই এখন থেকেই নিশ্চিত করে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। এবারের নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে দেখা গেছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ম্যাজিক। কারণ, গত বিধানসভা নির্বাচনের (২০১৮ সালে) তুলনায় এবছর সিন্ধিয়া গড় অর্থাৎ চম্বল অঞ্চল ও মালওয়া অঞ্চলে আসন সংখ্যা বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭টি আসন। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি জয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে এটাও উল্লেখ্যযোগ্য হিসাবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়াও, মধ্য প্রদেশে গেম চেঞ্চার হয়ে উঠল মুখ্যমন্ত্রী ‘লাডলি বহেনা’ যোজনা। মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরের এই জয়ের পিছনে এই সরকারি প্রকল্প বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠল।
কি এই ‘লাডলি বহেনা’ যোজনা?
১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালের পর এবং ১ জানুয়ারি ২০০০-এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করা সমস্ত মধ্য প্রদেশ নিবাসী বিবাহিত মহিলারাই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, সুবিধা মিলবে বলে জানানো হয়েছিল বিধবা ও ডিভোর্সিদেড় ক্ষেত্রেও। প্রতি মাসে মধ্য প্রদেশের ‘লাডলি বহেনা’-দের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় ১২৫০ টাকা। ২০২৩ সালের ৫ মার্চ লাডলি বহেনা যোজনা প্রকল্প চালু করেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম