।। প্রথম কলকাতা ।।
USA India Germany: অত্যাধুনিক মডেলের সব অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে রাজি হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের পাশে দাঁড়াতে দু পা তুলে রাজি জার্মানিও। কোন স্বার্থ হাসিল করতে ভারতকে নিয়ে ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি? ভারত রাশিয়ার মাঝে কি দেওয়াল তোলার প্ল্যান পশ্চিমা বিশ্বের? আদৌ কি যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির উদ্দেশ্য সফল হবে? ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারত ও। চলতি বছরের শুরুতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তারা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির আবেদন পেয়েছে।
আর, এবার বাইডেন প্রশাসন জেনারেল ইলেকট্রিকস মানে জিই কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির অনুমতি দিল। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সঙ্গে জিই যৌথভাবে ওই যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করবে। জিই এফ৪১৪ ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতে। গত প্রায় এক দশক ধরে এই নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে জানা যাচ্ছে, মোদীর আসন্ন ওয়াশিংটন সফরের সময় এই নিয়ে ডিল ফাইনাল হবে। জানিয়ে রাখি, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এখন ভারত সফর করছেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে অস্টিনের বৈঠক হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে? দুই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে। হাইপারসনিক অস্ত্র, আন্ডারওয়াটার ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ডিটেইলে কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে চীন, পাকিস্তান ইস্যুও। আর এখানেই ভারত নিজের ভালো মন্দ বুঝে মেপে পা ফেলার স্ট্র্যাটেজি টা নিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েে দিয়েছে চীন ও পাকিস্তান কখনও বিশ্বস্ত বন্ধু হতে পারে না। তাই তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনো প্রতিরক্ষা সমঝোতা না করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন নিয়ে ভারত খুব উদ্বিগ্ন তাই আগেভাগেই নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে ভারত। তবে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়। জার্মানিও ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতকে যুদ্ধজাহাজ দেওয়ার কথাও বলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
কিন্তু কেন? কোন স্বার্থ হাসিল করতে জার্মানির এই সিদ্ধান্ত? দেখুন, গত বেশ কয়েক দশক ধরে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ভারত খুব বেশি করে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ভারতে অস্ত্র বিক্রি করা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উৎসাহ দেখাচ্ছে। জার্মানি ভারতকে যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। অ্যামেরিকা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে রাজি হয়েছে। আসলে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো চাইছে, রাশিয়ার প্রতি অস্ত্র-নির্ভরতা কম করুক ভারত। হ্যাঁ জার্মানি তো বলেই দিয়েছে, ভারত যদি রাশিয়ার অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল থাকে সেটা দীর্ঘমেয়াদে জার্মানির স্বার্থের পক্ষে ভালো হবে না। অতএব এটা একেবারে স্পষ্ট যে রাশিয়া ভারতের বন্ধুত্বের কারনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পশ্চিমা বিশ্ব।আর তার জন্য তলে তলে ছক সাজানো শুরুও করে দিয়েছে। কিন্তু এতে কি সফল হবে জার্মানি যুক্তরাষ্ট্র? ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না ভারতের ব্যালেন্সিং পাওয়ার মারাত্মক। বাকিটা সময় বলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম