।। প্রথম কলকাতা ।।
Guillain-Barre syndrome: করোনার পর বিশ্বে নতুন আতঙ্ক। এই রোগের না আছে কোন ওষুধ, না আছে সঠিক লক্ষণ। শরীরে ঠিক কোন মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে, সহজে বোঝার উপায় নেই। সরাসরি আক্রমণ করছে মানুষের স্নায়ুতে। ইতিমধ্যেই আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের কয়েকটা দেশ। এই রোগ নির্মূল করার জন্য তিন মাস জরুরি অবস্থা জারি করেছে পেরু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কি এই রোগ? যার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করতে হল? এই রোগ ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে না তো?
নতুন আতঙ্ক জিবিএস বা গিলেন ব্যারে সিনড্রোম। এটা মূলত বিরল নিউরোলজিক্যাল রোগ। যা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের অংশ, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুর নানা অংশকে আক্রমণ করে। এর ফলে পক্ষাঘাতের মত অবস্থা হতে পারে। এমনকি রোগী ভালোভাবে শ্বাস পর্যন্ত নিতে পারেন না। যা দ্রুত ছড়াচ্ছে পেরুতে। জুন মাসের শুরুতে পেরুতে প্রায় ১৮২ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বস্তির বিষয়, এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪৭ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩১ জন। কিন্তু মারা গিয়েছেন ৪ জন। সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, ৫০ বছরের কাছাকাছি ব্যক্তিরা। পেরু সরকার প্রথম থেকেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে কঠিন হাতে রাশ ধরছে। এই রোগ নিয়ে এতটা আতঙ্কের কারণটা কী? যেহেতু এর কোন ওষুধ নেই, সঠিকভাবে লক্ষণও শনাক্ত করা যাচ্ছে না, তাই পুরোপুরি নির্মূল করার জন্য পেরু আগামী তিন মাস স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
করোনা, জিকার ক্ষেত্রে সহজেই বোঝা গিয়েছিল রোগের সংক্রমণের পদ্ধতি, কিন্তু জিবিএস সম্পূর্ণ আলাদা। এর সংক্রমণ ঠিক কোন পদ্ধতিতে হচ্ছে বা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের ছড়িয়ে পড়ছে, তা এখনো পর্যন্ত অজানা। এই বিষয়ে গবেষণাও চলছে, তবে নিশ্চিত ভাবে এখনো কিছু জানা যায়নি। জিবিএসের সঙ্গে কিছুটা যোগ রয়েছে জিকা, কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জার। এইসব ভাইরাসে আক্রান্ত বহু ব্যক্তি জিবিএস এ আক্রান্ত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী জিবিএস ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি, তবে রোগটি অজানা বলে বিশেষজ্ঞদের কাছে এতটা ভয়ানক। এখনো জানা যায়নি, এটা ঠিক কিভাবে, কেন এবং কোন ভাইরাসের জন্য দায়ী। এটি সরাসরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর স্নায়ুকে আক্রমণ করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম