।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel- Hamas War: খন্ড বিখন্ড করে কাটা হলো গাজাকে। ইসরাইলের ভয়ানক নকশার প্যাঁচ, রাতারাতি উবে গেল হামাসের আঁতুড়ঘর? পৃথিবীর অতলে হারিয়ে গেল গাজা? রহস্য ঘনাচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশে, কোন মন্ত্রে বাসা বাঁধলো এতোগুলো মিস্টিরিয়াস নম্বর? বড়সড় কন্সপিরেসি? আইডিএফ এর নকশায় লুকিয়ে কোন বিপদ সংকেত? সত্যিই কী বড় রিস্কে পড়ে গেল বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার’? যুদ্ধবিরতির পরেই একেবারে ফুল ফর্মে ঝাঁপিয়ে পড়লো ইসরাইল। হামাস নয়, রাতারাতি মুছে গেল প্যালেস্টাইনের গোটা গাজা স্ট্রিপ? আসল রহস্যটা জানেন? প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা কয়েকশো ভাগে ভাগ হয়ে গেল। আই ডি এফ এর গ্রাউন্ড অপারেশনের এত দম? মাটির তলার সুড়ঙ্গই কি কাল হলো?
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মাঝেই একটা নতুন মানচিত্রের অনলাইন ভার্সনে বিরাট চমক ইসরাইলি ফোর্সের। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু। প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে কোন মেসেজ দিয়ে দিল আইডিএফ? কেন এতোগুলো নম্বর দিয়ে মার্কিন করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন অঞ্চল কে? ডিসেম্বরেই জীবন্ত ফাঁদ, গাজার বুকে হুলস্থূল কাণ্ড। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ। তারপরই এই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ভবিষ্যতে যুদ্ধ এড়াতে এই মানচিত্র গাজার বাসিন্দাদের সাহায্য করবে। যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের জন্য তাদেরকে প্রস্তুতে সহায়তা করতেই ওই মানচিত্র তৈরি করে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে
সত্যিই কি গাজার জন্য এতোটা ভাবছে ইসরাইল?
আইডিএফ বলছে, এই মানচিত্রটি শনাক্ত যোগ্য এলাকায় ভাগ করা হয়েছে যাতে “প্রয়োজন হলে বাসিন্দারা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে”।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের রিস্ক বাড়ছে। তাই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই খান ইউনিসের বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণে সরে যেতে হুঁশিয়ারি দিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লিফলেটের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবিতে দেখা যচ্ছে, খান ইউনিস শহরকে বিপজ্জনক সামরিক এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য শহরের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের পাশের রাফাহ এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। রাফাহ মিশরের সীমান্তের কাছে অবস্থিত এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখি, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই একই ধরনের লিফলেট গাজার অন্য এলাকাগুলোতেও দেখা গেছে। আইডিএফ দাবি করছে, “গাজা উপত্যকায় বেসামরিক বাসিন্দাদের ক্ষতি এড়াতেই অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে এটা একটা”। একদিকে গাজার নিরীহ মানুষের প্রাণ, অন্যদিকে যুদ্ধ। আইডিএফ কি মেপে পা ফেলছে গাজার মাটিতে? কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার জন্য মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মাঝেই যুদ্ধ আবার শুরু হলো। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র কতটা সাপোর্ট করছে ইসরায়েল এর এই রহস্যময় কার্যকলাপক?
নিজের প্রতিরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থনও করে যাবে, কিন্তু ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনেই তা করতে হবে সাফ কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। গাজার উত্তরাঞ্চলে যে পরিমাণ মানুষ নিহত হয়েছে নতুন অভিযানে যাতে এতো বেশি পরিমাণ হতাহত না হয় তা ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের যাওয়ার জন্য নিরাপদ অঞ্চল নির্ধারণ করতে হবে তাদের বলেছেন ব্লিঙ্কেন। এক্ষেত্রে মনে করিয়ে দিই বিভিন্ন সংঘাতের সময় এই ধরনের “নিরাপদ অঞ্চল” নিয়ে অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। অনেকেই বসনিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধের সময় “নিরাপদ অঞ্চলের” কথা মনে করতে পারবেন যেগুলো আসলে মোটেই নিরাপদ ছিল না। তাহলে কি গাজার সাধারণ মানুষের জন্য আই ডি এফ সেই সেফ জোকে চিহ্নিত করে দিতেই ওই মানচিত্র কে সামনে এনেছে? সেক্ষেত্রে, গাজার বাসিন্দাদের আরো কোন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সেটা বলবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম