।। প্রথম কলকাতা ।।
কেরালার রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের ভিজিনজামে দেশের প্রথম কন্টেইনার ট্রান্সশিপমেন্ট (Container Transhipment Port) বন্দর তৈরি করছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তবে এই বন্দর নিয়ে খুশি নয় ওই এলাকার মৎসজীবীরা। বন্দরে আসার প্রবেশপথকে অবরুদ্ধ করে একটি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের এই মেগা প্রজেক্ট নিয়ে এর আগেও সমালোচনার মুখে পরেছেন গৌতম আদানি। মৎসজীবীদের অভিযোগ, এই বন্দরের ফলে সামুদ্রিক মাটিতে প্রভাব পড়ছে। এর ফলে জীবিকায় প্রভাব পড়তে পারে। অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, এই আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০০ টি প্লাস্টিকের চেয়ার ও আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে এটি একটি অনির্দিষ্ট দিন ও রাতের প্রতিবাদ।
আবার অন্যদিকে এই বন্দরের সমর্থনকারীরা গোটা এলাকা জুড়ে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সংবাদ সূত্র অনুযায়ী , আন্দোলনকারীদের সংখ্যা যখন কম থাকে তখন প্রায় ৩০০ জন পুলিশ আধিকারিক লাঠিসোঁটা সহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। কিন্তু উল্লেখ্য বিষয় হল, কেরালা রাজ্যের শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যে বন্দরের নির্মাণকার্য বাধাহীনভাবে এগিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন : LIC new plan: মাত্র একাত্তর টাকা দিলেই মেয়াদ শেষে আটচল্লিশ লাখ! কোথায় মিলছে এই সুযোগ?
কিন্তু পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি নয়। এনডিটিভির সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী , পুলিশের ভয় এটি করলে বন্দরকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এই বন্দরের যারা বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্দর নির্মাণের ফলে উপকূল সামুদ্রিক মাটির ক্ষয় হয়েছে। এর উপর প্রায় ৫৬ হাজার মৎসজীবী সম্প্রদায় মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।
তারা চায়, সরকার সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উপর বন্দর নির্মাণ এবং স্বাধীন গবেষণা বন্ধ করার নির্দেশ দিক।
অপরদিকে আদানি গ্রূপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইনের সাথে সম্পূর্ণ সম্মতি নিয়ে এই বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত অনেক গবেষণা উপকূলীয় ক্ষয়ের জন্য প্রকল্পের দায় সম্পর্কিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেছে।