।। প্রথম কলকাতা ।।
এই বাংলাতেই এমন এক গ্রাম রয়েছে যেখানে ফুচকা ছাড়া আর কিছুই নেই। যেখানে এখনো ১০ টাকায় ১০ টা ফুচকা পাবেন। সবচেয়ে বিখ্যাত লোটে ফুচকা, চিংড়ি ফুচকা! ভোর থেকে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। লেচি বানিয়ে তারপর ফুচকা ভাজা। সমস্ত কাজ সেরে নিয়ে বিকেল হতেই নিজেদের বাড়ির সামনে বিক্রির জন্য বসে পড়েন বাসিন্দারা। ফুচকাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে এক ঐতিহাসিক জায়গা। জানেন কোথায়? বাড়িতে বাড়িতে লাইন দিয়ে ফুচকা খাওয়ার ভিড়। মুচমুচে বলের পেটে ঝাল ঝাল আলু, টক জল আবার কখনও নানা রকমের পুর। বাংলার এই জায়গাকে বলা হয় ফুচকার স্বর্গ।
আগে নাম ছিল শহিদ পল্লী। এখন হয়ে গিয়েছে ফুচকা গ্রাম। কলকাতা থেকে শান্তিপুর লোকাল, কৃষ্ণনগর লোকাল, রানাঘাট লোকালে করে যেতে হবে কাঁচড়াপাড়া স্টেশনে। সেখান থেকে টোটোয় করে সোজা ফুচকা গ্রাম। আসল নাম তার শহিদ পল্লি। তবে ফুচকা গ্রামের শুরুটা হয়েছিল একটু অন্যভাবে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বলাই গাইন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ফুচকা তৈরি করেই সংসার চালাতেন। সেই থেকেই কাঁচরাপাড়ার শহীদ কলোনির এই ফুচকা গ্রামের শুরু। এখন কাঁচরাপাড়া শহীদ কলোনির এই গ্রাম রাসমণি ঘাটের সংলগ্ন এলাকা সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে ফুচকার জন্য। বলা যায় যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে সস্তায় ফুচকা এখানেই পাওয়া যায়। তাই দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখন এই এলাকায় ফুচকা খেতে ছুটে আসেন।
ফুচকা যে কত ধরণের হতে পারে তা এই গ্রামে গেলেই বুঝতে পারবেন। চিকেন ফুচকা থেকে মটন ফুচকা, চকলেট ফুচকা, চিংড়ি, লোটে ফুচকা কী নেই। পেয়ে যাবেন নিরামিষ ফুচকা। নিজেদের চেষ্টায় এরা ফুচকার নানা রেসিপি বানিয়েছেন। সারাদিনে কেউ বানাচ্ছেন চার পাঁচ হাজার ফুচকা, আবার কেউ বানাচ্ছেন দশ বারো হাজার ফুচকা। পাইকারী হিসেবে বিক্রিও করছেন আবার। নিজেদের স্টলের জন্যও রয়েছেন বাহারি ফুচকা। নানান জায়গা থেকে মানুষজন আসেন কেউ ফুচকা কিনতে আবার কেউ ফুচকা খেতে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে টক-ঝাল ফুচকা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই ঠান্ডাটা জাঁকিয়ে পড়লে কলকাতার কাছে পিঠে বেড়িয়ে আসার মোক্ষম ঠিকানা হতে পারে এই ফুচকা গ্রাম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম