।। প্রথম কলকাতা ।।
Cupping Therapy Benefits: যন্ত্রণা উপশমে তেল মালিশের বদলে কাপিং থেরাপির উপর ভরসা রাখছে তরুণ প্রজন্ম। বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় থেকে উর্বশী রাউতেলা, সম্প্রতি টলি অভিনেতা দেবকেও দেখা গিয়েছে কাপিং থেরাপি নিতে। ক্রিকেটারদের মধ্যেও বেশ প্রচলন রয়েছে এই থেরাপি নেওয়ার। মোহাম্মদ শামি,মইন আলি সহ একাধিক ক্রিকেটার এই থেরাপি নেন।
কিন্তু কি এই কাপিং থেরাপি? এই থেরাপি দেখতে একটু ভয়ঙ্কর। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট কাচ কিংবা সিলিকনের পাত্র বসিয়ে এই থেরাপি করা হয়।এই পদ্ধতিতে প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা হয়ে আসছে। শল্য চিকিৎসা, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মতোই এরও সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ৷চিন, ইজিপ্ট এবং মধ্য প্রাচ্যেই মূলত প্রাচীনকাল থেকেই এই থেরাপির রমরমা ছিল। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এই দেশেও এই থেরাপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই থেরাপি মূলত ব্যবহার করা হয় যন্ত্রণা-প্রদাহ কমানোর জন্য৷ শরীরের টক্সিন বের করে শরীরকে আরও সতেজ রাখতে সাহায্য় করে ‘কাপিং থেরাপি’৷
এতে শরীরে কাপের মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম তৈরি করে দূষিত রক্ত কাপগুলির ভিতরে চলে আসে। যা শরীরের ব্যাথা কমায়, ফোলা কমায়, রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে, আরাম ও শরীরে ঔজ্জ্বল্য প্রদান করে।
কাপিং থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ড্রাই কাপিং থেরাপি, ওয়েট কাপিং থেরাপি এবং ফায়ার কাপিং থেরাপি। কাপিং থেরাপির মাধ্যমে একটি কাঁচের কাপের মাধ্যমে শরীরের ওই অংশে ভ্যাকিউম তৈরি করা হয়। কাপটি শরীরের সাথে লেগে যায়। তারপরে তিন থেকে পাঁচ মিনিটের পরে নোংরা রক্ত এতে জমা হয়। এরপরে জমা নোংরা রক্তগুলি বার করে দেওয়া হয়। তাতে শরীর সতেজ হয় ও স্কিন গ্লো করে। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতার জন্যও কাপিং থেরাপি করানো হয়। যে স্থানে কাপিং থেরাপি করা হয় সেখানে কিছু সময়ের জন্য লাল গোল দাগ তৈরি হয়। কিছু দিন পর তারা মিলিয়ে যায়।
আর কী কী লাভ হয় এই থেরাপি করালে?
ঘাড়ের ব্যথা ও পিঠের ব্যথা উপশমে এই থেরাপি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। শীতকালে পেশিতে টান লাগে মাঝেমধ্যেই। সেই যন্ত্রণা দূর করতেও এই থেরাপি করাতে পারেন। কাপিং থেরাপির মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়লে অনেক শারীরিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এই থেরাপি করালে টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হয়, প্রদাহ কমে। কাপিং থেরাপি স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই থেরাপি কমালে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে। এই থেরাপি প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, ফলে মন শান্ত হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে শরীরের বর্জ্যপদার্থগুলি বেরিয়ে যায়।
কাপিং থেরাপি ত্বক পরিচর্যার জন্যও বেশ ভাল। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে ও কোলাজেন উত্পাদনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। জেল্লা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই থেরাপি। অ্যাকনে, একজ়িমার মতো ত্বকের সমস্যা কমায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম