।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনকে বরবাদ করে দিল ছোট্ট দেশটা। ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার হবে নতুন খেলা। গোপনে নয় জিনপিংয়ের চোখে চোখ রেখে বেজিংকে ধাক্কা। ভারতের থেকে বড় কিছু কিনতে চায় ফিলিপিন্স। ফিলিপিন্সকে নিয়ে কথা বলতেই হচ্ছে এত সাহস এত দম কোথা থেকে পাচ্ছে? ছোট ছোট কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপরাষ্ট্র। ভারতের কাছে বড় সুযোগ একঢিলে দু পাখি মারার। আর সব ঠিক থাকলে দিল্লি সেই সুযোগ তুলবেই। ফিলিপিন্স কীভাবে শি জিনপিংয়ের স্বপ্ন ভাঙল?
চীনের আর্থিক লস হয়ে গিয়েছে বড় পরিমানে তবুও কোনও স্টেপ সেভাবে নিতে পারে না বেজিং।
চীনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ চীন সাগরের পাশেই রয়েছে ফিলিপিন্স। এর পূর্বে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং উত্তরে তাইওয়ান। ফিলিপিন্সে প্রায় ১২ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে চীনের বিশালতার নিরিখে যাকে ক্ষুদ্র বলাই যায় আর সেই ক্ষুদ্র ফিলিপিন্সই। সম্প্রতি বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে কার্যত দুঃসাহস দেখিয়েই ফিলিপিন্স সেনেট জানিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীনকে আর তারা বিশ্বাস করে না। ঠিক এরপরই আরও চাঞ্চল্যকর যা শুনে চীন কার্যত হতবাক। ভারতের থেকে অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার সম্ভবত কিনতে পারে ফিলিপিন্স। কারণ অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার এমকে-৩ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। ভারতের থেকে এমকে-৩ কিনে কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে ফিলিপিন্স? উত্তরটা যে খুব সহজ সেটা বুঝতেই পারছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি ভারতের সঙ্গে কিন্তু বেশ মজবুত ফিলিপিন্সের সম্পর্ক। ঔ ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস মিশাইলের প্রথম বিদেশি খদ্দের ফিলিপিন্সই। ম্যানিলায় সেদেশের সরকার এই অস্ত্র কেনার জন্য ২.৮ বিলিয়ন পেসো (৫৫.৫ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছিল।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন দক্ষিণ চীন সাগরে আসলে চীনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিপিন্স। এই সাগরের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে সংলগ্ন দেশগুলির মধ্যে সংঘর্ষ, বিরোধ চলতেই থাকে। আর তাতেই লাগাতার মদত দেয় আমেরিকাও। ফিলিপিন্স এবং চীন এই সংঘর্ষের মাঝেও বিআরআই-এর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সেই সমঝোতায় সম্প্রতি ফাটল দেখা দিয়েছে। শোনা যায় ফিলিপিন্সে এই ভোলবদলের নেপথ্যে রয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমি। ফিলিপিন্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রড্রিগো ডুটেরটে চীনপন্থী ছিলেন। বিভিন্ন নীতির জন্য তিনি দেশের অভ্যন্তরে সমালোচিতও হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর কুর্সিতে বসেছেন বংবং মার্কোস। তিনি আবার চীনের পরিবর্তে আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলছেন। কীভাবে এতে ফিলিপিন্সের লাভ হচ্ছে দেখুন ছোট ফিলিপিন্স কূটনীতির মাধ্যমেই করে ফেলেছে কামাল।
সম্প্রতি চীনের সঙ্গে একটা বিরোধের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন ফিলিপিন্সের সঙ্গে তাদের সমঝোতার কারণে ফিলিপিন্সের জাহাজ সেনা কিংবা বিমানের উপর যে কোনও ধরনের চীনা হামলার জবাব দেবে আমেরিকান বাহিনী। এর মানে ফিলিপিন্সকে প্রটেক্ট করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর এদিকে ভারত থেকে যাবে বড় বড় অস্ত্রের জোগানতাতে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক লাভ তো হবেই। অন্যদিকে ফিলিপিন্সকে দিয়ে চীনকে চাপে ফেলতে পারবে দিল্লি। হল না এক ঢিলে দুই পাখি মারা!
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম