।। প্রথম কলকাতা ।।
পোল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ফ্রান্স। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৩-১ গোলে হারাল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের রেস ধরে রেখে জয় ছিনিয়ে নিল দিদিয়ের দেশমের দল।ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে ও একটি গোল আসে অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে। এই গোলে থিয়েরি অঁরিকে টপকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ স্কোরার হলেন জিরুদ। অন্যদিকে জোড়া গোল করে বিশ্বকাপে ৯ গোল করে ফেললেন এমবাপে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ ও বল দখলে আধিপত্য দেখাল ফ্রান্স। সুযোগ গড়েও কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ২৯ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন জিরুদ। দেম্বেলের পাস থেকে ফাঁকা গোলেও গোল করতে ব্যর্থ হন ফরাসি ফরোয়ার্ড। শুরুতে সেইভাবে আক্রমণেই উঠতে পারল না পোল্যান্ড। আস্তে আস্তে খেলায় ফেরে তাঁরা। ৩৮ মিনিটে প্রায় গোলই করে দিচ্ছিল পোল্যান্ড। পিওতর জেলিনস্কির শট পা দিয়ে রুখে দেন হুগো লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার উপেমেকানো। এরপর ইয়াকুব কামিনিস্কির শট বের করে দেন রাফায়েল ভারান। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দলকে এগিয়ে দিলেন অলিভিয়ে জিরুদ। ৫২ গোল করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের রেস ধরে রেখে পোল্যান্ড রক্ষণে হানা দিল ফ্রান্স। অন্যদিকে বিরতির পর খুঁজে পাওয়া গেল না রবার্ট লেওয়ানডোস্কিদের। ঘর সামলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ল পোল্যান্ড। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তুললো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৭৪ মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মঞ্চে কম বয়সে আট গোলের রেকর্ড গড়লেন এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁর গোল সংখ্যা দাঁড়ালো ৯। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফরাসি ডিফেন্ডার উপেমেকানোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। লেওয়ানডোস্কির শট রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষক। তবে আগেই লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় ফের শট নেন পোলিশ তারকা। এবার আর কোন ভুল করেননি লেওয়ানডোস্কি। তবে এতে পোল্যান্ডের শুধু ব্যবধানই কমে। ৩-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের দল।