।। প্রথম কলকাতা ।।
Paush Amavasya 2022: ২০২২ এর শেষ অমাবস্যা (Amavasya) পড়েছে ২৩শে ডিসেম্বর। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, এই অমাবস্যাকে বলা হয় পৌষ অমাবস্যা (Paush Amavasya)। পৌষ আমাবস্যাকে ঘিরে বহু প্রচলিত ধ্যান ধারণা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে, যা মানুষ মনেপ্রাণে মেনে চলেন। মনে করা হয়, এই দিন পিতৃপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ হয় এবং খারাপ ভাগ্য ভালো হতে পারে। অনেকেই আছেন যারা প্রচলিত ধ্যান ধারণা গুলিকে বিশ্বাস করে পৌষ অমাবস্যার (Paush Amavasya) দিন নানান বিধি নিয়ম মেনে চলেন। পৌষ অমাবস্যায় পুজো, প্রার্থনা, দান ইত্যাদি সহ নানান আচার-অনুষ্ঠানের বিশেষ গুরত্ব রয়েছে। এই তিথিতে পুজো করলে প্রাণঘাতী রোগ নির্মূলের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই দিন অনেকে অকাল মৃত্যু রোধে আচার এবং পুজো করে থাকেন। পরিবারে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসার উন্নতিতে এই দিন আচার-অনুষ্ঠান করার জন্য উপবাস পালন করলে শুভ ফললাভ সম্ভব।
পৌষ অমাবস্যা (Paush Amavasya )
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২২
তিথি শুরু হয়েছে- ২২শে ডিসেম্বর, বিকেল ৭টা ১৩ মিনিটে
তিথি সমাপ্তি – ২৩শে ডিসেম্বর, বেলা ৩টে ৬ মিনিটে
অভিজিৎ মুহূর্ত- দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত
স্নান এবং দানের শুভ সময় – ৫টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত
ভাগ্য ফেরাতে পৌষ অমাবস্যায় করুন বিশেষ উপায়
(১) পৌষ মাসের অমাবস্যা পড়ছে শুক্রবার। শুক্রবারকে দেবী লক্ষ্মীর দিন বলে মনে করা হয়। এই দিন পিপল গাছে তিল ও গুড় নিবেদন করে প্রণাম করবেন। পিপল গাছের একটি পাতা বাড়িতে নিয়ে আসবেন। এই পাতায় ‘শ্রী’ লিখে দেবী লক্ষ্মীর চরণে অর্পণ করবেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই উপায়ে সংসারের অলক্ষ্মী দূর হয়।
(২) পৌষ অমাবস্যায়, মধ্যরাতে স্নান করার পরে, অষ্ট লক্ষ্মীর সামনে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮ বার লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করবেন। এর ফলে আর্থিক কষ্ট দূর হবে এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
(৩) বছরের শেষ অমাবস্যায় পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পেতে অভাবীকে চাল, দুধ ও গরম কাপড় দান করুন। এর মাধ্যমে পিতৃপুরুষেরা সুখ, সমৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ দেন।
(৪) যেহেতু শুক্রবার অমাবস্যা, তাই এই দিন সন্ধ্যায় বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন।
(৫) পৌষ মাসের অমাবস্যার দিনে বাড়িতে তৈরি করা প্রথম রুটি গরুকে খাওয়াতে হবে। এর ফলে পূর্ব পুরুষের আশীর্বাদ পাবেন এবং সংসারে ইতিবাচক শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি হবে।
(৬) পৌষ অমাবস্যায় ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র নদীতে স্নান করবেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে নদীর জল বাড়ির জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। তারপর পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে সূর্যকে তামার পাত্রে অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম