।। প্রথম কলকাতা ।।
Football Player Food Delivary Girl: কাঁধে সংসারের বিশাল বোঝা। দিনে কখনো বা আয় হয় ১৫০ টাকা, আবার কখনো একটু বেশি। সংসারের বোঝা বইতে এই নারী আজ ফুড ডেলিভারি গার্ল (Food delivery girl)। তবে ইনি একেবারেই সাধারণ নয়, আমাদের বাংলার গর্ব। পিঠে খাবারের ব্যাগ কিন্তু একটা সময় তিনি মাঠ কাঁপিয়েছেন। তাঁর পায়ে তেজের সঙ্গে ছুটত ফুটবল (Football)। একটা সময় তিনি জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন। ঘুরেছেন দেশ-বিদেশে। আছে সেই তিনি কিনা বাড়ি বাড়ি ফুড ডেলিভারি করছেন। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) ভাইরাল হয়েছে, যা দেখলে একটু আশ্চর্য হতে হয়।
জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন পৌলমি অধিকারী (Paulmi Adhikari)। তিনি ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ এবং ১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁর বেহালা (Behala) শিবরামপুর বাড়িতে গেলে দেখতে পাবেন প্রচুর পদক আর সার্টিফিকেট। অথচ সেই তিনি এখন একরাশ শূন্যতা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। সংসারের ভার সামলাতে কাজ করছেন একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে (Food delivery company)। যেখানে দিনে ১৫০ থেকে বড়জোড় ৩০০ টাকা আয় করেন। সেই সকাল ৯টায় বার হন, আর বাড়ি ফেরেন রাত ১০টায়। সারাদিন খিদে পেলে রাস্তাতে কিছু একটা কিনে খেয়ে নেন। অথচ একটা সময় তিনি জার্মানি, আমেরিকা, লন্ডন, স্কটল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিলেন।
অনেকেই মনে করেন ফুটবল খেলে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা যায়। সেই ছকে বাঁধা ধারণা যে সবার জন্য খাটে না, তা পৌলমী অধিকারীকে দেখলে বোঝা যায়। চোখে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে ফুটবল প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে অন্ধকারে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তাঁর স্বপ্ন গুলো। প্রশ্ন উঠছে, তাঁর মতো একজন প্রতিভাবান ফুটবলার নিজের যোগ্যতাতে আরো ভালো কাজ তো করতে পারতেন? কিন্তু তার পরিবর্তে একরাশ মন খারাপ নিয়ে নিজের স্বপ্নের অপমৃত্যু নিজেই দেখছেন। রোজ সকাল হলে প্র্যাকটিসের জন্য মাঠে নন, পিঠে ভারী ব্যাগের বোঝা নিয়ে খাবার ডেলিভারি করেন। আক্ষেপ করেন, কেন যে এত কষ্ট করে ফুটবলার হতে গেলেন। মাঠ থেকে দূরে থাকতে একদমই ভালো লাগে না। অথচ কাঁধে রয়েছে সংসারের চাপ। দেশের হয়ে ফুটবল খেলেও তার প্রাপ্য সম্মানটুকু তিনি কি আদৌ পেলেন! তাঁর ভবিষ্যৎ ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে। আর পিঠে রয়েছে স্বপ্নকে দমিয়ে দেওয়া ফুড ডেলিভারি ব্যাগ।
যার স্বয়নে স্বপনে জাগরণে একদিন ফুটবল ছিল। আজ তাঁকে ভাবতে হচ্ছে সংসার কিভাবে চালাবেন। একদিন তার পায়ে ছিল জাতীয় দলের জার্সি। আজ তাঁর গায়ে উঠেছে ফুড ডেলিভারির পোশাক। যে পায়ে মাঠ দাপাতেন, আজ অভাবের সঙ্গে লড়তে সেই পায়ে ব্যস্ত রাস্তায় দৌড়াচ্ছেন। তাঁর মাথায় একটাই চিন্তা, কাস্টমারকে সঠিক সময়ে খাবার পৌঁছে দিতে হবে, একদম দেরি হলে চলবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম