।। প্রথম কলকাতা ।।
Annapurna Puja 2023: পরিশ্রম করেও সুফল পাচ্ছেন না? কিংবা সংসারে অবিচল রয়েছে আর্থিক অনটন? সঠিক সময় দেবী দুর্গাকে(Durga) তুষ্ট করলে কেটে যেতে পারে নানান বাধা, এমনটাই বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র। সামনেই রয়েছে অন্নপূর্ণা পুজো(Annapurna Puja)। সমস্ত নিয়ম নীতি মেনে ভক্তি সহকারে দেবী অন্নপূর্ণার আরাধনা করলে দূর হয় অন্নাভাব। অন্নপূর্ণা পূজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা প্রচলিত বিশ্বাস এবং ধ্যান ধারণা। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে বাংলার ঘরে ঘরে দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করা হয়। দেবী অন্নপূর্ণা হলেন দ্বিভূজা, মস্তকে রয়েছে নবচন্দ্র। একপাশে শ্রী, অন্য পাশে ভূমি। দেবী অন্নপূর্ণা মা পার্বতীর অপর একটি রূপ । তিনি দেবাদিদেবকে অন্ন প্রদান করেছিলেন বলে তাঁকে বলা হয় দেবী অন্নপূর্ণা। কথিত আছে, নিষ্ঠা সহকারে অন্নপূর্ণা পুজো করলে ঘরে অন্নাভাব ঘটে না। ২০২৩ এ অন্নপূর্ণা পুজো পড়েছে ২৯ শে মার্চ, বুধবার।
• পৌরাণিক কাহিনী
দেবী অন্নপূর্ণাকে অন্নদাত্রী বলা হয়। দেবীর এক হাতে থাকে হাতা, অপর হাতে থাকে অন্নপাত্র। কালী, জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো অন্নপূর্ণা পুজোর সময় তান্ত্রিক মত অনুসরণ করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক গ্রন্থে দেবী অন্নপূর্ণার নানান কাহিনী রয়েছে। পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী, বিবাহের পর শিব এবং পার্বতী কৈলাস পর্বতে দিন কাটাচ্ছিলেন। কিছুদিন পর আর্থিক অনটনের কারণে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। অবশেষে দরিদ্রতার কারণে পার্বতীর কথা শুনে দেবাদিদেব ভিক্ষাবৃত্তি করতে শুরু করেন। কিন্তু ভিক্ষে না পেয়ে আবার কৈলাসে ফিরে আসেন। আসলে তিনি পার্বতীর মায়ায় ভিক্ষা পাচ্ছিলেন। অবশেষে লক্ষ্মীর পরামর্শে কাশীতে এসে অন্নপূর্ণার হাত থেকে অন্য খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়েছিলেন। তারপর কাশীতে দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে দেবী অন্নপূর্ণা হয়ে ওঠেন বাঙালির ঘরের মেয়ে। বলা হয়, সর্বপ্রথম বাংলায় দেবী অন্নপূর্ণার পুজোর প্রচলন করেছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পূর্বসূরী ভবানন্দ মজুমদার। দেবী অন্নদার মাহাত্ম্য কথা পাবেন ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যে।
•অন্নপূর্ণা পুজোয় ভুলেও যে কাজ করবেন না
দেবী অন্নপূর্ণার বিখ্যাত মন্দির রয়েছে কাশীতে। প্রতি বছর অন্নপূর্ণা পুজোর দিন ধুমধাম করে দেবী আরাধনা আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে অন্নকূট উৎসব। এই দিন আমিষ ভোজন, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, ধূমপান থেকে দূরে থাকবেন। কাউকে কটু কথা বলবেন না এমন কোন ব্যবহার করবেন না যাতে বিপরীত দিকে থাকা মানুষটি আপনার ব্যবহারে কষ্ট পায়। মিথ্যে কথা বলবেন না। কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। দেবীকে খুশি করতে সাদা পোশাক পরে পুজোর আসনে বুঝতে পারেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কেউ যদি একটি জবা ফুলের লাল চন্দন লাগিয়ে তার মধ্যে একটি এলাচ দিয়ে দুর্গা মন্দিরের দান করেন তাহলে তিনি দেবীর আশীর্বাদ পান। পাশাপাশি মনে করা হয়, এই দিন কোন ভিক্ষুককে পিতলের পাত্রে আতপ চাল দান করলে অত্যন্ত শুভ ফল মেলে।