।। প্রথম কলকাতা ।।
Garuda Purana: হিন্দু ধর্মে একাধিক পুরাণের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল গরুড় পুরাণ। এই পুরাণের মাহাত্ম্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক বেশি। অনেকের মতে গরুড় পুরাণে শুধুমাত্র জন্ম-মৃত্যুর কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এমনটা নয়। গরুড় পুরাণে জন্ম ও মৃত্যু সহ আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেই পরামর্শগুলি যদি কোন ব্যক্তি এবং পরিবার মেনে চলতে পারেন তবে সাফল্যের পথ হবে সুগম। সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠবে জীবন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেক পরিবারেই নিয়ম রয়েছে কারও মৃত্যু হলে টানা ১৩ দিন বাড়িতে গরুড় পুরাণ পাঠ করার। এছাড়াও এই পুরাণের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যা নিষ্ঠা সহকারে নিয়মিত পালন করলে পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি ফুলেফেঁপে উঠবে। যারা নিজ দোষে ধনলক্ষ্মীকে রুষ্ট করেছেন তাঁরা ফের মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি ফিরে পেতে সক্ষম হবেন। গরুড় পুরাণে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ? সেই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।
* ধর্মীয় পুস্তক পাঠ : প্রতিটি ধর্মের একটি নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থ থাকে। তাই প্রত্যেকটি মানুষকে নিজের ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কারণ আমরা যে ধর্মে বিশ্বাসী সেই ধর্ম সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গরুড় পুরাণে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করার। এতে মনের অন্ধকার দূরীভূত হয়। যার ফলে মা লক্ষ্মী সেই ব্যক্তির উপর অত্যন্ত প্রসন্ন হন।
* কূল দেবতার পুজো : প্রত্যেক পরিবারেরই কোন না কোন কূল দেবতা থাকেন। গরুড় পুরাণে বলে, মন থেকে ভক্তিভরে কূল দেবতার পুজো করলে সেই পরিবারের সাত প্রজন্ম সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে। এছাড়াও কূল দেবতা প্রসন্ন থাকলে সেই পরিবারকে দুঃখ-অর্থ কষ্ট কিছুই কাবু করতে পারে না।
* পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রান্নাঘর : গৃহস্থ বাড়ির যেখানে রান্না করা হয় সেই জায়গায় মা লক্ষ্মীর অবস্থান থাকে বলে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে। এছাড়াও হিন্দু ধর্মে উনুনকে পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে বহু যুগ ধরে। শুধু তাই নয় রান্না বসানোর আগে আগুনকে পুজো করার রীতি পর্যন্ত রয়েছে। তাই গরুড় পুরানে বলা হয় রান্নাঘর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে। সেই পরিবারকে কখনও খাদ্যের অভাবে ভুগতে হয় না।
* দান ধ্যান: নিজের যতটুকু সামর্থ্য ততটুকু দান করা অত্যন্ত ভালো বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র এর উল্লেখ রয়েছে। দরিদ্র কোন ব্যক্তির দিকে নিজের সামর্থ্য মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন আপনার ওপরে। তবে কখনই নিজেকে নিঃস্ব করে দিয়ে দান নয়। ভালো মনে সামান্য কিছু কোন মানুষকে দান করলে কিংবা কোন মানুষের কাজে সাহায্য করলে তাই যথেষ্ট বলে উল্লেখিত রয়েছে গরুড় পুরাণে।
* শুভ চিন্তা : মানুষ নিজের চিন্তাশক্তি দ্বারা পরিচালিত প্রাণী। মানুষ চাইলে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে। গরুড় পুরাণে তাই বলা হয়েছে নিজের দোষ ত্রুটি সম্পর্কে জানা উচিত। সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত। নিজের দোষ নিজে খুঁজে বের করে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করলে নিজের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এতে পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। আর শান্ত গৃহস্থ বাড়িতে বসবাস করেন মা লক্ষ্মী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম