।। প্রথম কলকাতা ।।
Jisshu-Nilanjana: এমনটা কেন বললেন যীশু পত্নী নীলাঞ্জনা? বললেন, বিচার করবেন পরে। আগে যন্ত্রণাটা খুঁজুন। কোন যন্ত্রণার কথা বলছেন তিনি? নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর হঠাৎ এমন পোস্টের কারণ কী? এমনিতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা অ্যাকটিভ নন। সেই তিনি কেন শেয়ার করলেন এমন কথা? তবে কি যীশুর সঙ্গে কোনও কারণে ব্যবধান তৈরি হল? না হলে তিনি কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই তিনি এমন কিছু শেয়ার করলেন যার নানা অর্থ হতে পারে। আপনারা তো জানেন, নানান সামাজিক কাজে যুক্ত নীলাঞ্জনা। যীশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর যৌথ প্রোডাকশন হাউসের দায়িত্ব নিজের হাতে সামলান। ফ্লোরে মাঝেমধ্যেই হাজির হন তিনি। মেয়েদের সময় দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব কম ছবি দেন। কিন্তু, মেয়েদের সাফল্য থেকে নানা কিছু ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। আর এবার তাঁর পোস্ট দেখে অন্যকিছু আন্দাজ করছেন ভক্তরা। অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
যার বাংলা করলে ঠিক এমন দেখায়, কারওর রাগ নিয়ে তাঁকে বিচার করার আগে, তাঁর অন্দরের ব্যথা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কার রাগের কথা বললেন তিনি? তাহলে কি এর পেছনে কোনও রহস্য রয়েছে? সেই বিষয় কিছু জানাননি তিনি। কিছুদিন আগেই এমন রটেছিল যীশু এবং তাঁর নাকি বিচ্ছেদ হতে চলেছে। যদিও সেসব কথা ভুয়ো বলেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। এমনকি, এও বলেছিলেন আমার ঘর ভাঙার কোনও সুযোগই নেই। দুই মেয়েকে নিয়ে ভরা সংসার যীশু-নীলাঞ্জনার। সংসার সামলানোর পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থার কাজও একা হাতে সামলান নীলাঞ্জনা। শ্যুটিংয়ের কাজে যিশু কখনও মুম্বই তো কখনও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। টলিগঞ্জের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন মুম্বইয়ে তাঁর প্রতিপত্তি জমজমাট। তাই পরিবারকে বিশেষ সময় দিতে পারেন না যীশু।
সেই নিয়ে আফসোসও শোনা গিয়েছ তাঁর কন্ঠে। যীশুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি না গুড হাজব্যান্ড না ভালো বাবা। কারণ পরিবারকে যতটা সময় দেওয়া উচিত আমি দিতে পারি না’। ২০০৪ সালে অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনাকে বিয়ে করেন যীশু। ‘হিপ হিপ হুররে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করার সময় থেকেই প্রেম দুজনের। যীশুকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে সচরাচর গসিপ শোনাই যায় না!
সাতে-পাঁচে থাকতে ভালোবাসেন না। যীশুর জীবনে অন্য-নারীর উপস্থিতিও নেই। তবুও গুগলে তাঁকে নিয়ে চটকদার প্রশ্নের ছড়াছড়ি। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে অ্যাক্টিভ না হলেও যীশুকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই দর্শকদের মনে। গুগলে যিশুকে নিয়ে সার্চ করা অন্যতম প্রশ্ন হল, ‘যিশু সেনগুপ্তর কবে ডিভোর্স হচ্ছে?’ এই প্রশ্ন শুনেই ভিরমি খেয়েছিলেন নায়ক। তবে রাখঢাক না রেখেই জবাব দেন তিনি। যিশু জানিয়েছলেন, ‘আমি কেন ডিভোর্স নিতে যাব?
আমি বিবাহিত, যেমনভাবে লোকে বিবাহিত হয় আর কী! প্লিজ না, আমার ডিভোর্স হচ্ছে না।’ সব মিলিয়ে সুখের সংসার যীশু নীলাঞ্জনার। তাহলে কেন এমন পোস্ট করলেন যীশুপত্নী? উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত নেটিজেনরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম