।। প্রথম কলকাতা ।।
Film Institute: কলকাতার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এবার ত্রিপুরায় উদ্বোধন হল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের। রাজ্যের যুবক-যুবতীদের মধ্যে থাকা সাংস্কৃতিক প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, নজরুল কলাক্ষেত্রে ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করে এমনটাই জানিয়েছেন মানিক সাহা। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অভিনয়, গান, নাচের মতো প্রতিভা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এক কথায় বর্তমান যুব সমাজের কাছে লাইম লাইটে থাকা দুনিয়া বেশি প্রাধান্য পায়। আর সেক্ষেত্র এই ইনস্টিটিউট তাঁদেরকে সাহায্য করবে। যদিও এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে অনেকে।
ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন হবে বলে কখনও ভাবেননি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কিন্তু সরকারের প্রচেষ্টায় তা বাস্তব রূপ পেয়েছে। এদিন নিজের আলোচনায় সুরকার শচীন দেব বর্মন এবং রাহুল দেব বর্মনের কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই গান-বাজনা, সাংস্কৃতিক চিন্তাভাবনা লুকিয়ে আছে। শুধু তাকে বাইরে আনতে হবে। আর তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন। তা না থাকলে প্রতিভার ঠিকঠাক বিকাশ সম্ভব নয়। ইনস্টিটিউটের সুনাম অর্জন করতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উভয়পক্ষ মিলেই ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যৎকে সাজিয়ে তুলবে।
‘নিউজ 18’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টিটিউটে স্ক্রিন অ্যাক্টিং, ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, নিউজ রিপোর্টিং, অ্যাঙ্করিং, নিউজরুম অটোমেশন এই কোর্সগুলি রয়েছে। চলতি বছর ৪৭ জন ভর্তি হয়েছে এখানে। পড়ার ১০ শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য সরকার এবং ১০ শতাংশ দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ ও এসআরএফটিআই সহ আরও অনেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম