।। প্রথম কলকাতা ।।
WHO On Formula Milk: সদ্যোজাত শিশুর জন্য মায়ের দুধ অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস। এর বিকল্প কিছু হতে পারে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় শিশু খাদ্য হিসেবে ফর্মুলা দুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ওপরে ভরসা রাখেন বহু মহিলারা। শুধুমাত্র ভারত কিংবা অন্য দু-একটি দেশ নয় গোটা বিশ্ব জুড়ে মায়েরা ফর্মুলা দুধের মাধ্যমেই নিজের শিশুর খিদে মিটিয়ে আসছেন। কিন্তু এই গুঁড়ো দুধ বা ফর্মুলা দুধ (Formula Milk) সম্পর্কে যতটা তথ্য সংস্থাগুলির তরফ থেকে দেওয়া হয় আদৌ কি তা ঠিক ? আসল তথ্য আড়াল করা হয় কি? এই সম্পর্কে এবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ।
বিশ্বের বড় মাপের মেডিক্যাল জার্নাল গুলির মধ্যে একটি হল ল্যানসেট। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেটে (The Lancet) একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। আর সেই রিপোর্টের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে মায়েদের সতর্ক করা হয়েছে। হু জানিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থাগুলি তাদের ফর্মুলা দুধ বাজারে বেশি বিক্রি হওয়ার জন্য বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই কারণে সদ্যোজাত শিশুরা মায়ের দুধ (Breastfeeding) থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু মায়ের দুধের বিকল্প কখনও টিনজাত পাউডার দুধ হতে পারে না। এই মতামত বিশ্বের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় এই ফর্মুলা দুধ ব্যবহার করা উচিত।
কীভাবে তৈরি করা হয় ফর্মুলা দুধ ?
জানা যায়, গরুর দুধ দিয়েই ফর্মুলা দুধ তৈরি করা হয়। কিন্তু তা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। এই কারণে গরুর দুধের পুষ্টিগুণ অনেকটা কমে আসে। আর একটা সদ্যজাত বাচ্চার দুধ থেকে যে পরিমাণ পুষ্টি পাওয়ার কথা তা তাঁর শরীরে পৌঁছায় না। উপরন্ত সে মায়ের (Mother) দুধ থেকেও বঞ্চিত হয়।
শিশু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের জন্য মায়ের দুধটাই সর্বশ্রেষ্ঠ। এছাড়াও নিয়ম অনুসারে, ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুরা কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান করবে। অন্য কিছু নয়। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে এই নিয়ম কজন মানেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি গবেষণা করা হয়। সে গবেষণার রিপোর্টটি বলছে, ইউনেসেফ ৮৫০০ জন অভিভাবক এবং ৩০০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। আর সেই সাক্ষাৎকার থেকে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, চীনের মতো দেশে কম করে ৮০ শতাংশ মায়েরা ফর্মুলা দুধ সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু মরক্কোতে সচেতন মায়ের সংখ্যা শতাংশের নিরিখে অনেকটা কম।
বুকের দুধে শিশুর উপকার
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্তান জন্মানোর প্রথম এক ঘণ্টায় তাকে বুকের দুধ খাওয়ানোই জরুরী। আর আগামী ছয় মাস পর্যন্ত তাকে বুকের দুধই খাওয়ানো হয়। অন্য কোন খাবারের বিশেষ কোনো প্রয়োজন হয় না। শিশুর শরীরের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে মায়ের দুধ1। এটি তাঁর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্থূলতাকে প্রতিরোধ করে। যদি ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর টানা মায়ের দুধ খায় তাহলে ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কম হয়। সহজ কথায় বলতে গেলে একেবারে সদ্যজাতের জন্য প্রথম টিকা হল মায়ের বুকের দুধ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম