।। প্রথম কলকাতা ।।
Elon Musk: এলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে টুইটার (Twitter) আসতেই একের পর এক পরিবর্তন এসেই চলেছে। যার কিছু কিছু আপডেট বা ফিচার্স নিয়ে ব্যবহারকারীরা খুশি, আবার কেউবা একটু অখুশি। কিছুদিন আগেই জোর জল্পনা চলছিল টুইটারের ব্লু টিক (Blue Tick) নিয়ে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের ব্লু ব্যাজ। মেটা সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ তাঁর প্রোফাইলে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে ব্লু ব্যাজ প্রিমিয়াম পরিষেবার কথা জানান। যারা টুইটার ব্যবহার করেন তারাও নিত্য নতুন পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করুন। কারণ এলন মাস্কের পরিকল্পনার তালিকা এখন বেশ লম্বা। সম্প্রতি টুইটার ভারতের অফিসগুলি বন্ধ করেছে। পাশাপাশি কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে। চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভারতীয় কর্মীরা। খারাপ হতে পারে টুইটারের ভবিষ্যৎ।
ভারতে টুইটারের তিনটি অফিস রয়েছে। যার মধ্যে দুটি বন্ধ করতে চলেছেন এলন মাস্ক। এমনি থেকেই বহু দিন ধরে টুইটারের গণ ছাঁটাই নিয়ে কম জলঘোলা হচ্ছে না। সেই ২০২২ সাল থেকে একের পর এক পরিবর্তন এনেই চলেছেন। ভারতের তিনটি কোম্পানির মধ্যে আপাতত বেঙ্গালুরুর অফিসটি খোলা থাকবে। যদিও ভারতের তিনটি অফিসের মধ্যে অধিকাংশ টুইটারের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেন বেঙ্গালুরুর অফিসে। বেঙ্গালুরুর অফিসের কর্মীরা মার্কিন দফতরের অধীনে কাজ করেন। তাই তাদেরকে ভারতীয় দলের সদস্য বলা যাবে না। এর আগে টুইটার ভারতে কর্মরত প্রায় ২০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এবার দিল্লি আর মুম্বাইয়ের অফিস বন্ধ করতে চলেছে। আপাতত ব্যয় সংকোচনের উদ্দেশ্যে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাজের পরিমাণ কমেনি, অথচ কর্মীর সংখ্যা কমছে। যার কারণে টুইটারের কাজেও দেখা দিচ্ছে বেশ খামতি। অপরদিকে কোম্পানির লাভ তুলতে উঠে পড়ে লেগেছেন এলন মাস্ক। খরচ মেটাতে সান ফ্রান্সিসকো আর লন্ডনের অফিসের বেশ কিছু জিনিস নিলাম করতে হয়েছে। সেই জল গড়িয়েছে আইনি মামলায়। ২০২২ এ প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনেছিলেন এলন মাস্ক। তারপর থেকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার দোহাই দিয়ে গণছাঁটাই করছেন। ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বজুড়ে টুইটার ছাঁটাই করেছে প্রায় ৭৫০০ জন কর্মীর অর্ধেকের বেশি। বিজ্ঞাপন দাতারা টুইটারের উপর ভরসা করতে এখন একটু ভয় পাচ্ছে। টুইটার নাকি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। আপাতত এলন মাস্ক ভারতের বাজারকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। টুইটারের প্রায় কয়েক লক্ষ ডলার বকেয়া পড়ে রয়েছে। যার কারণে কয়েকজন ঠিকাদার কোম্পানি টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ভবিষ্যতই বলবে টুইটারের পরিণতি কি হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম