।। প্রথম কলকাতা ।।
Weight Loss Tips: মাত্র ১৫ দিনেই কমবে ওজন! মোমের মত গলবে মেদ। রান্নাঘরের যে উপকরণটিকে দেখে নাক সিটকাচ্ছেন, সেটিই হচ্ছে ওজন কমানোর ব্রহ্মাস্ত্র।হেঁসেলের এই উপকরণটিতেই কাজ হবে ম্যাজিকের মত। খালি পেটে এক চামচ খেলেই মিলবে হাতেনাতে ফল। শরীর হবে চনমনে, ফিরবে যৌবন। রোজ খালি পেটে মাত্র এক চামচ…। জানেন কী সেই ‘ম্যাজিক টোটকা’?
হালফিলের ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চার সময় কোথায়? সকাল থেকে রাত অবধি, প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌঁড়ে ব্যস্ত সকলেই। আবার কেউ কেউ এক্সারসাইজ করেও কোনও সুফল পাচ্ছেন না। যে কারণে আজকাল সবাই ঝুঁকছেন ডায়েটের দিকে। ডায়েটের নামে রোজকার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ছে এমনসব জিনিস যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, ওজন বৃদ্ধির ভয়ে আপনার খাদ্য তালিকা থেকে এমন একটি জিনিস আপনি বাদ দিচ্ছেন যা হচ্ছে ওজন কমানোর ব্রহ্মাস্ত্র। জানেন কী সেই জিনিস?
বেশি গৌরচন্দ্রিকা না করে বরং সোজা পয়েন্টেই আসা যাক। আজ আমরা হেঁসেলের যে উপকরণটির কথা বলছি সেটি হল ‘দেশী ঘি’। শুনেই পিলে চমকে গেল তো? ভাবছেন এ আবার কী কথা বলছি! খাঁটি গাওয়া ঘি কীভাবে ওজন কমাতে পারে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, এক চামচ ঘি কিন্তু জীবন বদলে দিতে পারে। সুস্থ থাকতে তাই ঘি হতে পারে অন্যতম ভরসা। জানেন কোন নিয়ম মেনে ঘি খেতে হবে?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমরা সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করি তা হল ডায়েটের নামে ‘ঘি’ বাদ দিয়ে দিই। তবে ঘি-এর মধ্যে এমন অনেক গুণাবলী রয়েছে যা আমাদের শরীরে প্রয়োজন। সঠিক উপায়ে এক চামচ ঘি হয়ে উঠতে পারে মহৌষধি। ওজন কমানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে শুদ্ধ দেশী ঘি।
সম্প্রতি জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি তার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, খাঁটি ঘি-তে রয়েছে মাঝারি চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড ঘি-কে শক্তি বৃদ্ধিকারীতে পরিণত করে। যা দেহের চর্বি বা মেদ গলাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড বা CLA, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে ঘি আপনার শরীরকে দেবে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
তবে তার অর্থ এমনটাও নয় যে, আপনি আপনার সমস্ত তরি তরকারিতে ঘি দেবেন। তাতে সুফল তো মিলবেইনা উল্টে পড়বে মাথায় হাত। এই পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, ঘি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল সকাল বেলা। খালি পেটে এক চামচ খাঁটি ঘি ওজন কমানোর ব্রহ্মাস্ত্র। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও মিলবে রেহাই। সেই সাথে সারাদিন আপনার শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে ঘি। যে কারণে, পিসিওডি-র পেশেন্টদেরও খালি পেটে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তাই ঘি দেখে নাক সিটকাবেননা। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম