।। প্রথম কলকাতা।।
Bighor’s Brinjal Farming: রায়গঞ্জবাসীর কাছে শীতের মরশুমে গরম গরম তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত এবং বিঘোরের বেগুন খানিকটা অমৃত সমান। এই ছাড়া শীতকালটা তাদের ঠিকঠাক শুরুই হয় না বর্তমানে রায়গঞ্জে ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলাতে সমাদৃত হচ্ছে বিঘোরের বেগুন (Bighor’s Brinjal Farming) । কারণ এই বেগুনের স্বাদ এবং এর ওজন দুটোই সাধারণ বেগুনের তুলনায় অনেক আলাদা। রায়গঞ্জবাসীর কথায়, একবার যারা বিঘোরের বেগুনের স্বাদ পেয়েছেন তাঁরা আজন্ম সেটা ভুলতে পারবেন না। এই কারণেই শীতকালে চাহিদা বাড়ে বিঘোরের বেগুনের।
এই বিঘোরের বেগুন আসলে কী ? বিঘোর (Bighor) হল রায়গঞ্জ ব্লকের (Raiganj Block) একটি জায়গার নাম। সেখানে চাষ করা হয় এই বেগুনটি। এছাড়াও রায়গঞ্জ ব্লকের ভিটিকাটিহার, ছিট মহারাজপুর, দুপদুয়ার প্রভৃতি এলাকায় এই বেগুনটি চাষ হয়ে থাকে। কৃষকদের কথায়, এক একটি বেগুনের ওজন প্রায় এক কিলো থেকে দু কিলো। বেগুনগুলির বহির্ভাগ একেবারে চকচকে হয়। স্বাদ অন্যান্য বেগুনের তুলনায় ১০ গুণ ভালো । এই গ্রামগুলিতে শীতকাল আসলেই চাষ করা হয় এই প্রজাতির বেগুন। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে । আগে শুধুমাত্র রায়গঞ্জ শহরের বাজারেই এই বেগুনের জন্য সকাল থেকে ভিড় দেখা যেত ক্রেতাদের। কিন্তু এখন কলকাতাতেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
স্বাদ এবং গন্ধ দুটোই অতুলনীয় বিঘোরের বেগুনের । কিন্তু অন্যান্য বেগুনের তুলনায় এর স্বাদ এত ভালো হওয়ার কারণ কী ? যদিও অভিজ্ঞ কৃষকদের ধারণা, প্রত্যেক বছর বন্যার সময় নির্দিষ্ট ওই অঞ্চলগুলি জলে ঢেকে যায়। জল কিছু সময় পড়ে টেনে গেলেও পলি কৃষি জমির উপর জমা হয়ে থাকে। আর সেই জমিতে যখন বেগুন উৎপাদন করা হয় তখন তার স্বাদ অনেকটা বেশি বৃদ্ধি পায়। এটাই তাদের মতে বিঘোরের বেগুনের সিক্রেট। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই গ্রামগুলিতে রেকর্ডসংখ্যক বেগুন চাষ করা হয়েছে এবং চাহিদাও বেড়েছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে।
২০২২ সালে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে এই বেগুন চাষ করা হয়। আর প্রতি বিঘা জমির থেকে কৃষকরা আয় করেন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তাহলে কিছুটা হিসাব করলেই বোঝা যাবে কী পরিমান লাভজনক এই বিঘোরের বেগুন। এই প্রজাতির বেগুন চাষ করার জন্য রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত (Raiganj Panchayat) সমিতির তরফ থেকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম