।। প্রথম কলকাতা ।।
Middle East policy: মধ্যপ্রাচ্যর প্রশ্নে কি জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন? তাহলে কি, মধ্যপ্রাচ্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাকে নাড়িয়ে দিতে চলেছে? না, ব্যাপারটা কিন্তু অতটাও তুচ্ছ ভাবে নেবেন না। বিশ্বের অন্যতম অর্থনীতির দেশকে যখন আঞ্চলিক সংঘাতের কারণে এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, একের পর এক সমালোচনা ফেস করতে হচ্ছে, তখন নিশ্চয়ই বিষয়টা ভালো দেখাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময় বিশ্বজুড়ে যে সংঘাত চলছে, সেখানে বারংবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা উঠছে। মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই নাক গলানো মনোভাবকে মেনে নিতে পারছে না। বিশেষ করে সামনেই যখন দেশটার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন। মুখোমুখি লড়বেন জো বাইডেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনও ঘুরে ফিরে সেই চলে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের কথা। কেনই বা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে? এই মধ্যপ্রাচ্যে কি আছে বলুন তো? যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্র নীতিতে বারংবার মধ্যপ্রাচ্যকে জুড়ে দিয়েছে? মধ্যপ্রাচ্যে নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে কেনই বা যুক্তরাষ্ট্র এত মরিয়া? তাহলে কি সত্যি সত্যি, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটই হবে জো বাইডেনের হারের বড় কারণ?
* ম্লান বাইডেনের আশ্বাস, ফেল মধ্যপ্রাচ্যের নীতি
বলছি বছর চারেক আগের কথা, তখন ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি এশিয়া নীতি পাল্টে ফেলবেন। ঝুড়িঝুড়ি আশ্বাসও দিয়েছিলেন। বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন আর যুক্তরাষ্ট্রকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েই কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন তিনি। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের সামনে তখন রেখেছিলেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। সৌদি আরব আর আরব আমিরাতের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি স্থগিত, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা, আণবিক চুক্তি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধান, চীনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, মিত্র জাপানের পক্ষে অবস্থানের বার্তা দিয়েছিল ওয়াশিংটন।
কিন্তু কই? বিগত কয়েক বছরে বাইডেনের শাসনামলে সেই প্রতিশ্রুতি গুলো কি পূরণ হয়েছে? না হয়নি বোধহয়। এই খটকাটা বাইডেন এড়িয়ে যেতে পারবেন না, আর পারছেনও না। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তো স্বাভাবিক হয়নি, উল্টে দিনের পর দিন সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে। যে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই সমাধান তো দূর, উল্টে ইসরায়েল আর গাজার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। চীনের আধিপত্যের জাল আরও বেশি করে গ্রাস করেছে মধ্যপ্রাচ্যকে। শুধু তাই কি? বর্তমানে যে ইয়েমেনের হুতিদের বারংবার সামনা করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে, বাইডেন ক্ষমতায় এসে কিন্তু বলেছিলেন বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু আজ দেখুন কি হচ্ছে! বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যতম শত্রু বলে মনে করে।
বহু কূটনীতিকদেরই ধারণা, মার্কিন হস্তক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে একটা যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাস গুলোতে, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে যে সমর্থন, তা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাব মূর্তিকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সেটা দেখতেও পাচ্ছেন নিশ্চয়ই।
* যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রসঙ্গ কেন? কোন পয়েন্টে ব্যর্থ বাইডেন?
প্রতিবেদনটা শুনতে শুনতে আপনিও নিশ্চয়ই এতক্ষণে ভাবা শুরু করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কথা আসছে কেন? আসলে কি বলুন তো, গত কয়েক দশক ধরেই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বেশ সক্রিয়। সেই ইরাক আক্রমণ থেকে শুরু করে ইসলামিক স্টেট বলুন কিংবা আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াই, অথবা যদি বলেন ইসরায়েল আর সৌদি আরবকে অস্ত্র পাঠানোর প্রসঙ্গ। সেখানেও নানান বিষয়ে সম্পৃক্ত থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিঃসন্দেহে এখনো যুক্ত রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের বিশ্লেষকরা মনে করে থাকেন জ্বালানি, সম্পদ, বাণিজ্য রুট, ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র স্থায়ী মিত্রতার কারণে এই অঞ্চলের প্রতি দেশটা আগাগোড়াই একটু বেশি আগ্রহী।
তবে এ কথা বলতেই হয়, নাটকীয়ভাবে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমছে। যেখানে ২০০৭ সালে কেবলমাত্র ইরাকেই ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন সেনা। বর্তমানে মিশর থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত মার্কিন সেনা সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজারেরও কম। আসলে যুক্তরাষ্ট্রের যে আধিপত্যবাদের নীতি, তা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আর মানতে চাইছে না। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি আরও কমিয়ে আনা হবে কিনা তা নিয়েও কিন্তু ওয়াশিংটন ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। ওয়াশিংটনের কাছে, এটা এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রশ্ন বটে।
আর তাছাড়া কয়েক দশক ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি নির্ধারণের একটা প্রধান কারণ সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত আর সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বহু দেশের তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ভান্ডার। জানেনই তো, বৈশ্বিক তেলের বাজারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িয়ে। সেখানে যদি সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে শুধু তেলের দামই নয় বরং পুরো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে। এটা বিগত কয়েক বছর ধরে হচ্ছেও। যার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিশ্বের কম বেশি প্রত্যেক দেশ। এখানে আবার যুক্তরাষ্ট্রের একটা ভয় কাজ করছে। যখনই মধ্যপ্রাচ্যে দেশটা জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে, ঠিক তখনই চীন মধ্যপ্রাচ্যের তেলের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। সেটাকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া আবার সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীই তো চীন। এখানে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আর পরিষেবা, বিশেষ করে সামরিক হার্ডওয়ারের একটা বিশেষ বাজার বলতে পারেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে সবথেকে বেশি রপ্তানি হয়েছে মার্কিন অস্ত্র। মোট মার্কিন অস্ত্রের রপ্তানির ৩৮ শতাংশই যায় মধ্যপ্রাচ্যে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি অস্ত্র কেনে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত আর ইসরায়েল। আর তাছাড়া সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য মধ্যপ্রাচ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। সেই জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজের হাল ছেড়ে দেয়, তাহলে অর্থনীতিতেও দেশটা ধাক্কা খাবে। যুক্তরাষ্ট্র আগাগোড়াই তাই মধ্যপ্রাচ্যের রাশ নিজের হাতে রাখতে চেয়েছে, এখনো চায়। কিন্তু ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এই সুযোগটা থাকবে কিনা সেটা বলা মুশকিল। কারণ ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফুঁসছে। তারা চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঘরের বিষয়ে নাক গলাক।
মিশরের যে সুয়েজ খাল আর ইরানের অদূরে রয়েছে হরমুজের সরু প্রণালী। সেটাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত দরকার। ভালো করে ভাবুন, এই জায়গায় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে চটিয়ে ফেলে, যদি মধ্যপ্রাচ্যকে নিজের হাতের বাইরে করে ফেলে, তখন কিন্তু আরও বিপদে পড়বে। তাই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দেশগুলোর সঙ্গে শত্রুতা করার আগেই যুক্তরাষ্ট্র দুবার ভাবে। কূটনৈতিক ভাবে সমস্ত বিষয়টা সামলানোর চেষ্টা করছে ঠিকই, কিন্তু পারছে কই? বরং উল্টোটাই হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময় দেখবেন, গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত। তার উপর এই অঞ্চলটাকে বলতে পারেন চীন আর রাশিয়ার সঙ্গে ক্ষমতা প্রতিযোগিতার একটা মূল নাট্যমঞ্চ। যেখানে যে যত বেশি ভালো পারফর্ম করতে পারবে, তার হাতেই থাকবে এই অঞ্চল। বলা ভালো, এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য করার বড় সুযোগটা পাবে সেই দেশ। ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকাকে সংযুক্ত করছে মধ্যপ্রাচ্য। তাই কৌশলগত দিক থেকে মার্কিন বাণিজ্য বলুন আর সামরিক অভিযান, সব দিক থেকেই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা।
* বাইডেনের ভোট ব্যাংকে প্রভাব খাটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত
এবার আসা যাক সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে। যেটা এতক্ষণ ধরে বলা হচ্ছিল। আশঙ্কাটা কতটা সত্যি হবে? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপ্রাচ্য কতটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে আপনাদের মনে হয়? কমেন্ট করে তো অবশ্যই জানাবেন। দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সেখানে নির্বাচনে নানান স্তম্ভ রয়েছে। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য হয়তো বড় কোনও স্তম্ভ নয়। কিন্তু কম বয়সী যে ভোটাররা তারা কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে ভাবছে। বলা ভালো অলরেডি তারা সেটা নিয়ে ভাবা শুরু করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সব ভোটারদের জন্য পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা বড় ইস্যু নয়। বিষয়টাকে আপনি আবার পুরোপুরি বাদও দিতে পারবেন না। ২০২৪ এ এর এই যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, এটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী বছর। কারণ যেখানে মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যান্য সংঘাতের একটা রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। দেশটার অভ্যন্তরীণ গুঞ্জন এও বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের যে তরুণ প্রজন্ম রয়েছে বা প্রগতিশীল ভোটাররা রয়েছেন তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সমালোচনা করছে। ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য তারা বাইডেনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও ছাড়ছেন না। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই তরুণসমাজ যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিকে খুব একটা পছন্দ করছে ব্যাপারটা আবার সেরকম নয়।
কিন্তু হ্যাঁ, ট্রাম্প পররাষ্ট্র বা নিরাপত্তা নীতির প্রতি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি কোন মতেই বাইডেন কে কোন অ্যাঙ্গেলেই ছেড়ে দেবেন না। এখানে আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম কিংবা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অনেকেই আদৌ ভোটে যাবেন নাকি ভোটে যাবেন না, তার মাঝেও বেশ সংশয় রয়েছে। কারণ অনেক ভোটার আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও খুব একটা পছন্দ করেন না। চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের একটা সমীক্ষা বলছে, দেশটার ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী অনেকেই গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তার পরিবর্তে তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। আসলে, মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়টা অনেকটা জটিলতা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে। আবার যারা একটু গভীরভাবে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি বিচার করছেন, তারা কিন্তু কিছুটা হলেও সাপোর্ট করছেন ট্রাম্পকে। সত্যি বলতে, বিতর্ক যাই থাকুক, নির্বাচনের রেজাল্টই বলবে কে জিতবে আর কে হারবে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কাকে চাইছে এটাই মূল কথা। কিন্তু তার আগে বাইডেন বেশ চাপে রয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল কিছুটা হতাশাজনক। আর তাই বাইডেনকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক। তাঁর দাবি, বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদে কি করবেন তা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নাকি হিমশিম খেয়েছেন। ঠিকভাবে ট্রাম্পের উস্কানির জবাব দিতে পারেননি। যদিও এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম