।। প্রথম কলকাতা ।।
Conjunctivitis Treatment: ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে চোখ ওঠার সমস্যা। প্রায় প্রতিটি ঘরে কেউ না কেউ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে ঘুম থেকে উঠেই চোখে ব্যথা অনুভব করছেন? চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে গেছে? চোখ দিয়ে জল পড়ছে? তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার চোখ উঠেছে। এই সময় শিশু থেকে বৃদ্ধ মোটকথা সব বয়সী মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই বর্ষায় কিন্তু অনেকেই চোখের এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা হলে কি করনীয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
চোখ যে শুধু মনের কথা বলে তা নয়, চোখ আপনার রোগের কথাও বলে। চোখের সাদা অংশ লালচে হলে, চোখ দিয়ে জল পড়লে বা ব্যথা অনুভব করলে সাধারণত আমরা চোখ ওঠা বলি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে কনজাংটিভাইটিস। গরম আর বর্ষায় এই চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। তারপর অন্য চোখে তা ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে,সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনও কখনও অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। চোখ জ্বালার সঙ্গে ময়লা এলে সেটা ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস। শুধু ভাইরাল ইনফেকশন হলে চোখে জ্বালা করে এবং লাল হলে হয়ে যায়।
যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, তাই যতটা সম্ভব অন্যদের থেকে আলাদা থাকা ভালো। বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় বলে লোকজন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। এই সময় সানগ্লাস পরে থাকতে হবে। চুলকানি হলে রোগী এলার্জির ওষুধ খেতে পারেন। সাবান দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। ভেজা চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার পাত্রে ফেলে দিতে হবে। না হলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করুন। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলোবালি, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।নিজের ব্যবহার করা প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রোগীর ব্যবহার করা চলবে না। এই সময় ভিটামিন সি এর পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়া দরকার। এই সময় কিশমিশ পিংক সল্ট হলুদ ও কমলা রঙের ফল সবুজ শাক বেশি করে খেতে হবে। আবার অন্যদিকে রিফাইন খাবার অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ডুবো তেলে ভাজা খাবার মার্জারিন এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। পর্যাপ্ত যত্ন নিলে চোখ ওঠা রোগ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায় ।তবে দুই সপ্তাহ পরে যদি রোগনার শারে এবং দেখতে অসুবিধা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম