।। প্রথম কলকাতা ।।
Nepal Earthquake: নেপালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প তার চূড়ান্ত এফেক্ট ভারতে কেন? আরও বড়সড় কম্পনের আশঙ্কা, উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভারতের কোন কোন রাজ্য রয়েছে এই রিস্ক জোনের মধ্যে? ভূমিকম্প অনুভব করলে যে কাজটা একেবারেই করবেন না। প্রথমেই বলে রাখি চীনপন্থী নেপালকে সাহায্যের পুরোপুরি আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চীনের তরফ থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত কোনও ধরণের সাহায্য ঘোষণা করা হয়নি। তবে এসব কূটনৈতিক জটিলতা এখন প্রারোরিটি নয়। প্রশ্ন উঠছে নেপালের এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পের বড়সড় এফেক্ট ভারতে কেন পড়ল? সেকেন্ডে সেকেন্ডে নেপালে নিহতদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে শুক্রবার রাতে নেপালের ভূমিকম্পের সঙ্গে কেঁপে ওঠে ভারতের দিল্লি, এনসিআর, উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, কলকাতা বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। শুধু তাই নয় খুব সামান্য হলেও চীন ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। নেপালে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। আর ঠিক এখানে একটা বিপদ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
২০১৫ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়েছিল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ওই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮ হাজার মানুষ। ভারতের ওপরও কি এবার সেরকমই কোনও বিপর্যের ছায়া?
ভূমিকম্প অনুভূত হলে সবথেকে প্রথমে কোন কাজ করবেন জানা আছে? বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য হিমালয়ের নীচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের বিরোধ তৈরি হতে পারে। ভারতীয় পাতটি ক্রমে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হতে পারে তাই হিমালয় এলাকায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের ডোটি জেলার কাছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ওই একই এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩। ৩ জনের প্রাণহানিও হয়েছিল সেই ঘটনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভূকম্পন অনুভূত হলে প্রথম শর্তই হল প্যানিক করবেন না আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন। রান্নাঘরে থাকলে গ্যাস বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। কোনও বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।
নেপালের আতঙ্কিত বাসিন্দারা জানাচ্ছেন শুক্রবার রাতে কম্পনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরেছে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। বিজ্ঞানীরা বলছেন চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালা। ভারতীয় পাতের সেই উত্তরাভিমুখী গমন এখনও থামেনি তাই ছোট-বড় ভূমিকম্প ওই এলাকায় লেগেই আছে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে ভারতীয় পাতের সক্রিয়তার ফলে ইউরেশীয় পাতের উপরে যে চাপ তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে তা বড়সড় ভূমিকম্পের আকার নিতে পারে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা হতে পারে আটেরও বেশি। তাই এবিষয়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম