।। প্রথম কলকাতা ।।
Madras High Court: একজন বাবা তার নাবালক সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ করতে বাধ্য। সম্প্রতি এমনটাই পর্যবেক্ষণ করেছে মাদ্রাস হাইকোর্ট(Madras High Court)। যখন স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে বিরোধ থাকে কিংবা তারা সেই সম্পর্ককে অস্বীকার করে তখনও কিন্তু এই রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো কারণ নেই। শুনানির সময় আদালত জানায়, শিশু মায়ের হেফাজতে রয়েছে। তাকে দেখাশোনার জন্য বাবাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।
স্বামীর তরফে থাকা আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তি তার নাবালক সন্তানের যত্ন নিতে ইচ্ছুক। কিন্তু তার স্ত্রী শিশুকে দেখতে দেয় না। তাই তিনি এই ভরণপোষণ দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ত্রী তাকে তার সন্তানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেবেন, ততক্ষণ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণ দিতে পারবেন না। স্বামীর পক্ষে থাকা আইনজীবীর এই উক্তি শুনে আদালত স্বামীকে তার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তিরস্কার করেন। বিচারক জানায়, আদালত কোন অবস্থাতেই এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করবে না।
আদালত জানিয়েছে ১১ মাস বয়সী কন্যা সন্তানের যত্ন নেওয়া একজন বাবার দায়িত্ব। কারণ তিনি প্রাকৃতিক অভিভাবক এবং একজন উপার্জনকারী সদস্য। ২০২০ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের(divorce) সিদ্ধান্ত নেন। ওই মহিলা তিরুচিরাপল্লীতে (Tiruchirapalli) তার বাবা মায়ের বাড়িতে ফিরে যান, সঙ্গে নিয়ে যান তাদের সন্তানকে। তার স্বামী পুনামল্লির( Poonamallee) এটি পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীকালে বিবাদ গড়ায় হাইকোর্টে। যেখানে আদালত জানায় সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীনে জীবিকাকে মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকার হিসেবে বলা হয়েছে। এছাড়াও অনুচ্ছেদ ৩৯ এবং ১৫(৩) তিন নম্বরে সামাজিক ন্যায় বিচার আর নারী শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য ইতিবাচক রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আদালত অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের স্বার্থে অন্তর্বর্তী রক্ষণাবেক্ষণ করার বিষয়টি বিবেচনা করতে বাধ্য। ওই মহিলা আদালতে মামলার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। পাশাপাশি আদালত স্বামীকে প্রতি মাসের ১০তম দিনে বা তার আগে নাবালিকা কন্যাকে পাঁচ হাজার টাকা অন্তর্বর্তী রক্ষণাবেক্ষণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম