।। প্রথম কলকাতা ।।
Unique Invitation Card: শীতের মরশুম মানেই বিয়ের মরশুম। হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিবাহ অভিযান সেরে নিতে পছন্দ করেন অধিকাংশ মানুষই। এই বছরও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগামী ডিসেম্বরের ৮ তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দুর্গাপুরের (Durgapur) দেবাশীষ এবং দীপান্বিতা। কিন্তু তাদের বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত। শুধুমাত্র লাল কাগজে মোড়া একটি চিঠি নয়, আমন্ত্রিতদের বাড়ি বাড়ি সেই কার্ডের সাথে পৌঁছে যাচ্ছে সোনাঝুরি গাছের বীজ।
গিরিশচন্দ্র রায় যিনি দেবাশীষের সম্পর্কে জ্যাঠামশাই, তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বিয়ের আমন্ত্রণ পত্রের সঙ্গে উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে সোনাঝুরি গাছের বীজ। আর সেই আমন্ত্রণপত্রের মধ্যেই বীজ গুলি উপযুক্ত স্থানে বপন করে তার পরিচর্যা করার আর্জি জানানো হয়েছে। নিজেদের চারিদিককে আরও সবুজ করে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে সেই আমন্ত্রণ পত্রে। স্বাভাবিকভাবেই তা পছন্দ হবে যে কোন মানুষের। আমন্ত্রণপত্রের মধ্যে লেখা রয়েছে, ‘ আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই ভাবনা তার সুপ্ততা কাটিয়ে সফল মহীরুহে পরিণত হবে। উত্তরসূরী কুর্নিশ জানাবে পূর্বসূরীর এই পদক্ষেপকে’।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ‘এ’ জোনের দয়ানন্দ রোডের বাসিন্দা হলেন দেবাশীষ রায়। তিনি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। অন্যদিকে তাঁর হবু পত্নী আসানসোলের মহিশীলার বাসিন্দা। তাদের বিয়ের জন্য যে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে তাতেই সোনাঝুরি গাছের বীজ রয়েছে। সেই বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বীরভূমের শান্তিনিকেতন থেকে। তাদের ধারণা আমন্ত্রণপত্র খুব বেশি দিন সামলে রাখা সম্ভব নয়। কোনো না কোনোদিন হয়তো হারিয়েই যাবে। কিন্তু একটা বীজ যদি পরবর্তীতে অন্যকে আশ্রয় দেওয়ার মত আকার ধারণ করে তাহলে তা স্মৃতি হিসেবে থেকেই যাবে। রায় পরিবারের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যি প্রশংসাযোগ্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, এই ধরনের উদ্যোগ যদিও প্রথম নয়। এর আগেও জলপাইগুড়ির সমাজ সচেতন শিক্ষক জিষ্ণু চক্রবর্তী তাঁর নিজের বিবাহ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে একটি করে সবুজ সতেজ চারাগাছ তুলে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল পরিবেশ বান্ধব উপাদানে তৈরি গ্লাস-পাতা এবং বিয়ের মেনু কার্ড। একই রকম ভাবে দুর্গাপুরের দেবাশীষ ঘোষ এবং নবনীতা সেনও নিজেদের বৌভাতের অনুষ্ঠানে সকলের হাতে ছোট লেবু গাছের চারা তুলে দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এই ধরনের উদ্যোগ সবসময়ই প্রশংসা কুড়িয়েছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণস্বরূপ স্মরণ করা হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম