।। প্রথম কলকাতা ।।
Split Ends: চুলের যত্ন সবরকম প্রসাধনী ব্যবহার করে দেখে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না। সমাধান হিসেবে বার বার চুলের ডগা ছেঁটে ফেলছেন কিন্তু তারপরেও আবার কয়েকদিন পরে সেই একই রূপ ধারণ করছে আপনার চুল। দুমুখো চুলের সমস্যা ভোগেন কমবেশি সব মেয়েরাই। মূলত চুলের শুষ্কতার (Roughness) কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এতে চুলের ডগা ছেঁটে ফেলা কিন্তু কোন সমাধান হতে পারে না। বরং তাতে আবারও ফিরে আসবে দুমুখো চুল (Split Ends)। কাজেই সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
* ব্যবহার করুন হানি হেয়ার মাস্ক: চুলকে কোমল রাখার জন্য অনেকেই টক দই ব্যবহার করে থাকেন। সেই টক দইয়ের সঙ্গে কিছুটা মধু (Honey) মিশিয়ে নিন। এই ধরনের হেয়ার মাস্ক চুলে ব্যবহার করলে চুল আরও বেশি পুষ্টি পায়। চার টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আর তারপর সেই মিশ্রনের সঙ্গে এক চামচ মতো অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। সেই মিশ্রণটি আপনি গোটা মাথার চুলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এই ভাবেই ছেড়ে দিন প্রায় ঘন্টা দেড়েকের জন্য। তাতে আপনার চুলের আর্দ্রতা ফিরে আসবে এবং যে ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছিল তা ক্রমশ কমবে।
* ভরসা রাখুন নারকেল তেলে: বাড়ির মা-ঠাকুমারা কিন্তু চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কোন প্রসাধনী কিংবা হেয়ার মাস্কের সাহায্য নিতেন না। তাদের কাছে চুলের খাবার মানেই ছিল নারকেল তেল (Coconut Oil)। কারণ চুলকে সঠিক পুষ্টি জোগাতে নারকেল তেলের বিকল্প কিছু হতে পারে না এটি খুশকি প্রতিরোধ করে , চুল পড়া কমায়, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। কাজেই যেদিন শ্যাম্পু করবেন তার আগের দিন রাতে অথবা সেদিন সকালে ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় তেল মাখুন। মালিশ করে নিন হালকা হাতে। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে । আর তার এক ঘণ্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ারের ব্যবহার করবেন না কখনও। প্রাকৃতিকভাবে শুকোতে দিন নিজের চুল।
* টক দইয়ের সঙ্গে মেশান মেথি: মেথি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মেথির তেল ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। আর এই মেথির হেয়ার মাস্ক চুলে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় টক দই (Curd) এবং মেথি গুঁড়োর (Fenugreek Power)। ভালোভাবে এই দুটি উপকরণ মিশিয়ে গোটা চুলে লাগিয়ে রাখুন। এতে চুলের ডগা ফাটার সমস্যা অনেকটাই কমতে থাকবে। নিয়মিত এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের দৈর্ঘ্যও বৃদ্ধি পাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম