।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan: সীমান্তে পাকিস্তান আর্মি ভুয়ো প্রোপাগান্ডা ভারতকে নিয়ে। বড় হমকি ভারত পাল্টা দেওয়ার আগেই পাক আর্মির দশা বেহাল পাক আর্মি কি পঙ্গু হয়ে গেল পুরোপুরি। জেনারেল বাজওয়ার কথা মিলে যাচ্ছে তাহলে। এবার কে বাঁচাবে পাকিস্তানকে? ভারতের হাতে চরম সুযোগ। জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর৷ তাহলে এবার কী হবে? কিন্তু হাস্যকরভাবে এর মধ্যে পাকিস্তানের নতুন ডিজি আইএসপিআর মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতকে দিলেন জোর হুমকি। ভারতকে জোর জবাব দেবে পাকিস্তান এতে কোনও সন্দেহ নেই। এমনি হুঙ্কার চৌধুরীর। কিন্তু নতুন করে ভারতের ওপর ক্ষেপে যাওয়ার কারণ? জেনারেল বাজওয়ার ভবিষ্যতবাণীই আসল সত্যি হল৷ পাক আর্মি প্রধান আসিফ মুনির চেপে রাখতে পারলেন না৷
৩ বার এয়ারস্পেস ভায়োলেশন, ৬ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন, ২২ টা ফায়ারিংয়ের ঘটনা সেইসঙ্গে ড্রোনে নজরদারির চেষ্টা। ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলগুলোতে এই ব্রেকিংই চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাকিস্তান আর্মির তরফে কিছু ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে পাক মিডিয়ায়। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতেও যদি ভারতের ওপর অ্যাকশন নিতে চায় পাক আর্মি তার উপায় কোথায়। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য বলছে পাক সেনাবাহিনীর জ্বালানিও ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। এই অবস্থায় জ্বালানি বাঁচাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবধরনের সামরিক অনুশীলন স্থগিত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পাক আর্মির জওয়ানদের রেশনেও কাটছাট করা হচ্ছে রীতমত। জানা যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি ট্রেইনিং-এর কার্যালয় থেকে তাদের সব আঞ্চলিক দফতর এবং অন্যান্য ইউনিটের কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সবধরনের যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মানে এককথায় বলতে পারেন পাক আর্মি এখন গ্রাউন্ডে পঙ্গু৷ এই খবর ঢাকতেই কি সীমান্তে ভুয়ো প্রোপাগান্ডা তৈরি করছে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে? দেশবাসীর কানে মন্ত্রের মতো ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের তরফ থেকে উস্কানি আসছে তবে পাকিস্তান ছাড়বে না। ২০২৩ শের মে মাসে একটা রিপোর্ট এসেছিল ইসলামাবাদে যখন এমন অর্থনৈতিক সংকট তখনও কোটি কোটি টাকা রোজগার করে পাক ফৌজ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে আর্থিক সংকটেও কোথা থেকে আসে এতো টাকা? বিভিন্ন রিপোর্ট দাবি করা হয়, স্বাধীনতার পর প্রায় ৩২ বছর সেনা শাসন ছিল পাকিস্তানে। দেশ শাসনের নামে ‘ফৌজি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন সেনাকর্তারা। এই সংস্থার মাধ্যমেই আম জনতার টাকা লুঠ করে চলেছে পাক বাহিনী। দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে পাক সেনার এই সংস্থার আলাদা আলাদা অন্তত ৫০টি শাখা। এর মাধ্যমেই বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী জনগণের কাছে বিক্রি করে ফৌজ।
গবেষক আয়শা সিদ্দিকির লেখা বই Military Ink তাতে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের রিয়েল এস্টেট, সার, সিমেন্ট থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের এমনকি স্কুলেরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ফৌজি ফাউন্ডেশনের হাতে। শুধু তাই নয়, দেশের জমির একটা অংশই দখল করে রেখেছে পাক সেনা। অনেকেই প্রশ্ন উঠছে এই তথ্য যদি সত্যি হয় তাহলে পাকিস্তানী ফৌজের আজ এই হাল কেন? সবই কি ওপরতলার পকেটে যায়৷ প্রাক্তন পাক আর্মি প্রধান জেনারেল বাজওয়া দাবি করেছিলেন ভারতীয় আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারে ঠিক বলেছিলেন বাজওয়া ১৯৪৭-৬৫, ১৯৭১-কার্গিলের যুদ্ধ পর্যন্ত প্রমাণ হয়ে গিয়েছে ভারতের সামনে টিকতে পারবে না পাকিস্তান। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, দিল্লি সঙ্গে কূটনীতি বা প্রতিরক্ষা কোনওটাতেই না পেরে উঠে এখন পাকিস্তানের আগামী স্ট্র্যাটেজিই হল ভারতকে আগ্রাসী প্রতিবেশী হিসেবে প্রমাণ করা। যাতে বিশ্বে হাই স্পিডে এগোতে যাওয়া ভারতের পায়ে লোহার বেরি পড়ানো যায়, যেটা বাস্তবে কোনো দিনই সম্ভব নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম