।। প্রথম কলকাতা ।।
যত কান্ড ট্যুইটারে! এলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে বিশ্বের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যেতেই এই শব্দবাক্যই ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেটে। কার্যত প্রতিটি দেশের সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে এলন মাস্ক এবং ট্যুইটার। এতদিন ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্ব। সম্প্রতি এর সাথে জুড়ে বসলো আরও এক নতুন সমালোচনা। এলন মাস্কের ট্যুইটার কেনায় মার্কিন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
সে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট (Democrat) প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আবার রিপাবলিকানের (Republican) পাল্টা দাবি, এই সমালোচনা প্ল্যাটফর্মে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার একটি পাতলা প্রচেষ্টা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দল ট্যুইটারের কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে পাশাপাশি তাদের এও দাবি, ট্যুইটারে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত নয়।
সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘু নেতা ম্যাককার্থি (McCarthy) জানান, ট্যুইটারে এলনের বাকস্বাধীনতার (Free Speach) যে প্রয়াস তা ডেমোক্র্যাট পার্টি এবং তাদের মিডিয়ার বন্ধুদের জন্য একপ্রকার হুমকি। আসলে ট্যুইটারে মালিকানা পেতেই আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অ্যাকাউন্ট পুনঃস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন মাস্ক।
আরও পড়ুন : Tata Motors: ট্যুইটার-ফেসবুকে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য দরজা খুলে দিল টাটা মোটর্স, রইল চাকরির অফার
ডেমোক্র্যাট পার্টির দাবি ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যম সহযোগিতা করেছিল। ফেসবুকে সেই সময় অজস্র ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছিল।
অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির দাবি, টুইটার, ফেসবুক সহ অনেক সামাজিক-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন মেটা ইনকর্পোরেটেড (Meta Inc) এবং অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড ইউটিউব (Alphabet Inc) অন্যায়ভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে দমন করে এসছে, যা কোম্পানিগুলি সাধারণত অস্বীকার করে।
পাশাপাশি অনেকে ট্যুইটার ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাসন করার পদক্ষেপ নিয়েও সমালোচনা করেন। যার জেরে ট্রুথ সোশ্যাল (Truth Social) নামে নিজের আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হোন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল