।। প্রথম কলকাতা ।।
El nino effects philippines: রাক্ষুসে ‘এল নিনো’র করাল গ্রাসে ফিলিপাইন (Philippines)। সারা দেশজুড়ে উঠেছে ত্রাহি-ত্রাহি রব, ভয়াবহ অবস্থা। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই ফিলিপাইনে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। তীব্র গরমে জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া এক শহর। ৩০০ বছরের পুরনো এই শহরকে দেখে আতঙ্কিত গোটা দেশ। এল নিনোর ভয়ঙ্কর প্রভাবে ভীত গোটা ফিলিপাইন। দেশটিতে যা ঘটেছে তা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। জানেন কী হয়েছে ফিলিপাইনে?
এল নিনোর প্রভাবে পুড়ছে গোটা বিশ্ব। ভারত তো বটেই সেই সঙ্গে নাজেহাল হচ্ছে ফিলিপাইনের মানুষজনও। শুকিয়ে যেতে বসেছে দেশটির পুকুর, নদী, নালা। বন্যায় ডুবে যাওয়া বসতি এখন খরার প্রকোপে দৃশ্যমান। এমন আবহে ফিলিপাইনে যা ঘটেছে তাতে কার্যত হতবাক গোটা দেশ। চরম তাপপ্রবাহের জেরে জেগে উঠেছে আস্ত একটা শহর। তারপর থেকেই বিপদ গুনছেন ফিলিপিন্সের সাধারণ মানুষ। কী এমন ঘটেছে সেখানে? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনিই তীব্র খরার জন্য বিশেষ পরিচিত ফিলিপাইন। সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে ফিলিপাইনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। আর এবার তো এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এল নিনোর প্রভাব পড়ছে ফিলিপাইনের গড় বৃষ্টিপাতের উপর। যার ফলে ইতিমধ্যেই চরম ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। একাধিক বাঁধের জলস্তর নেমে গেছে ৫০ মিটারেরও নিচে। শুকিয়ে গেছে দেশটির একাধিক পুকুর, নালা, নদী। পানীয় জল থেকে শুরু করে খাদ্য, সবকিছুতেই দেখা দিয়েছে হাহাকার। আর এসবের মাঝেই সামনে এল আরেক ভয়ঙ্কর চিত্র। যে চিত্র স্পষ্ট বলছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও দুঃখ রয়েছে ফিলিপাইনের আম জনতার কপালে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী হয়েছে সেখানে।
জানা যাচ্ছে, পান্তাবাঙ্গান নামক একটি বিরাট বাঁধ রয়েছে উত্তর ফিলিপাইনের নুয়েভা ইসিজা প্রদেশে। আর এই বাঁধের নিচের রয়েছে আস্ত একটা শহর। তাহলেই ভেবে নিন এই বাঁধের পরিধি ঠিক কতটা। আর এবার নাকি ঐ গোটা বাঁধ শুকিয়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ডুবে থাকা শহরটি। স্থানীয়রা বলছে, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। এর আগেও বাঁধের জল কমেছে, এর আগেও বাঁধের নিচে ডুবে থাকা শহরের কোনও কোনও জায়গা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। তবে কখনোই এভাবে গোটা শহর জেগে ওঠেনি। তাহলে ভেবে নিন ফিলিপাইনের অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ।
তবে এখানেই শেষ নয়। তাপপ্রবাহের ফলে ইতিমধ্যেই ফিলিপাইনের তেরোটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। আগের বছর যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫,০০০। গত মাসে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫,০০০। বাড়ছে হিটস্ট্রোকের সংখ্যাও। সবে মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফিলিপাইন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম