।। প্রথম কলকাতা ।।
ORS: বৃষ্টির দেখা নেই। এমন জ্বালাপোড়া দহন শেষ কবে সইতে হচ্ছে সত্যি মনে পরেনা। বাইরে বেরোনোর ছেড়ে দিন পাখার হাওয়া গায়ে লাগছে না। তারই মধ্যে শরীরকে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত ওআরএস গ্লুকোজ খেয়ে নিচ্ছি আমরা। এই গরমে বারবার ওআরএস খাচ্ছেন? গরমে জলশূন্যতার ভয়ে আমরা বাজার থেকে ঘনঘন ওআরএস কিনে খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ওআরএস এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা আমাদের শরীরে কতটা ক্ষতিকর?
শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত গ্লুকোজ খেয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে আসছেন অনেক পেশেন্ট। একপ্রকার অতিরিক্ত ওআরএস গ্লুকোজ গরমে বিপদ ডেকে ফেলছে।
কিভাবে আপনারা বিপদটা ডাকছেন জানেন? আচ্ছা, ওআরএস এ থাকে চিনিও। ডায়াবেটিকরা গরমে এই পানিও খেতে পারেন?
জানিয়ে রাখি, নিয়ম অনুযায়ী বাজারে বিক্রি হওয়া ওয়ারেস এর প্যাকেটে লেখা থাকে ১ লিটার জলে মেশান। অনেকেই তড়িঘড়ি ২০০ মিলি লিটার কিংবা এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেয়ে নিচ্ছেন। আর তাতেই কিন্তু বাড়ছে বিপদ। ওআরএস এ আছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সাইট্রেট। বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্মের জন্য ভিটামিন মিনারেল এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। শরীরের সুস্থতায় সোডিয়াম পটাশিয়াম এর মত উপাদান গুলি গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। ১ লিটারের অল্প জলে এক প্যাকেট ওয়ারেস মিশিয়ে খেলে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম এর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে।
একই অবস্থা হতে পারে ঘনঘন গ্লুকোজ খেলে। বাজার চলতে গ্লুকোসে রয়েছে প্রচুর সুগার বাঁচিনি। অতিরিক্ত খেলে রক্ত ঘন হয়ে যাবে। তখন শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে জল টানতে শুরু করবে রক্ত। ডিহাইড্রেশন কমার বদলে বেড়ে যাবে আরও।
অতিরিক্ত ওআরএস খেলে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যা থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার রক্তে লবনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে গ্রীষ্মে ব্লাড সুগারের রোগীদের শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে যায়। এই কারণে নানান ধরনের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ওআরএস এ থাকে চিনি। সুগারে রোগীদের জন্য আদৌ ভালো কিনা এই নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন ডায়াবেটিস থাকলেও ওআরএস জলে গলা ভেজানো যায়।
এক্ষেত্রে ১ লিটার জলে এক প্যাকেট ওআরএস গুলে তৃষ্ণা পেলেই খান। এতে শরীরের জলের যোগান বাড়বে ইলেকট্রোলাইটস ব্যালেন্সও ফিরবে। গ্রামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে জল সোডিয়াম পটাশিয়াম। এক্ষেত্রে হাতের অসুখ বা কিডনির অসুখের কারণে জল পানি কোন নিষেধ না থাকলে দিনে ৩ লিটার ওআরএস অনায়াসে পান করা যায়।তবে এতটা পরিমাণ ওয়ারিশ না খেয়ে সাধারণ জল ডাবের জল মিলিয়ে মিশয়ে পান করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।এই সময়ে নানান ধরনের গ্লুকোজ দেওয়া জলের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে ব্লাড সুগারে রোগীদের এই পানীয় একদমই মানা।
এই পানীয় খেলে শরীরের চট করে সুগার বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের জল থেকে দূরে থাকুন। এমনকি কোলড্রিংস প্যাকেট বন্দি ফলের রস খাবেন না। কারণ এই পানীয় গুলিতেও মেশানো থাকে এডেড সুগার। আবার অনেককেই দেখা যায় হাতের কাছে ওয়ারিস নেই বলে নুন চিনির জল পান করে নেন। ডায়াবেটিস না থাকলে এই জল পান করলে কোনো অসুবিধা নেই। তবে ব্লাড সুগারের রোগীরা এই ধরনের জল পান করবেন না। কারণ এতে থাকা চিনি অনুন দুই আপনার শরীরে ক্ষতি করতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম