।। প্রথম কলকাতা ।।
Poila Boishakh: পয়লা বৈশাখ (Poila Boishakh) বলে কথা, সেখানে বাঙালির পাতে মিষ্টি থাকবে না এটা যেন একেবারেই অসম্ভব। নতুন বছরকে আগমন করার সাথে সাথে থাকে মিষ্টিমুখ আর একরাশ হই হুল্লোড়। এককথায় হাসি আনন্দে আর মিষ্টি মুখে জমজমাট পয়লা বৈশাখ। কিন্তু উৎসবের আনন্দে যদি মুখে টপাটপ রসগোল্লা (Rasgulla) দিয়ে দেন তাহলে একটু সাবধান। অতিরিক্ত মিষ্টি (Sweet) শরীরের নানান গোলোযোগ তৈরি করতে পারে, মাটি করে দিতে পারে উৎসবের আনন্দ। বিশেষ করে যদি খালি পেটে অতিরিক্ত মিষ্টি খান তাহলে মহা সমস্যায় (Problem) পড়বেন।
পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। বিশেষ করে যদি আমরা ভারতের কথা বলি, এখানে প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তিই কোনো না কোনো রকমের মিষ্টি খান। যাদের প্রায়ই মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তারা যদি একটু মিষ্টি জিনিসও খান, তাহলে তা খাওয়ার ইচ্ছা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু জানেন কি মিষ্টি খেলে শরীরে কিছু উপকার হলেও অপকারিতা রয়েছে প্রচুর। তাই বিশেষজ্ঞরা কম মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মিষ্টির ভালো-খারাপ
মিষ্টি যদি সঠিক পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে তা শরীরের উপকার করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডার্ক চকলেটের মতো কিছু মিষ্টি খাবার খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে এবং উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ উচ্চ বিপিতেও উপকার পাওয়া যায়। অপরদিকে মিষ্টি জিনিসে ক্যালরির পরিমাণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করলে ওজন বা স্থূলতা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। ওজন বৃদ্ধি উচ্চ রক্তে শর্করা এবং হৃদরোগ সম্পর্কিত অনেক গুরুতর রোগের কারণ। খুব বেশি মিষ্টি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হল এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি না খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া একটানা মিষ্টি খেলে হাড়ের উপরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ত্বকের চুলকানির কারণ হতে পারে। চিনি হাড় ও দাঁত থেকে ক্যালসিয়াম শোষণের কাজ করে। যার কারণে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম