।। প্রথম কলকাতা ।।
Goddess Baglamukhi at Dumdum: দমদমেই রয়েছে সেই বিরল মা বগলামুখীর মূর্তি। কোথায় আছে সেই শতবর্ষ প্রাচীন জাগ্রত দেবীর মন্দির? তন্ত্রের সর্বশেষ্ঠ দেবী। দমদমের এই মন্দিরে নাকি নিজে এসেছিলেন মা বগলা। সেই থেকেই দেবী এখানে অধিষ্ঠিত। আপনি কি দমদমের বাসিন্দা? জানেন কোথায় এই মন্দির? বিশেষ এক রঙের ফুলে সন্তুষ্ঠ হন মা। যে মন্দিরে চোখের সামনে ঘটে সব অলৌকিক ঘটনা। বিয়ে বা চাকরিতে বারবার বাধা আসছে ? একটিবার পুজো দিয়ে আসুন মায়ের মন্দিরে। যদি পুজো দিতে চান এই মন্দিরে কীভাবে যাবেন?
এই মন্দিরে পুজোর সময় নাকি দেবী স্বয়ং উপস্থিত হয়েছিলেন। আশীর্বাদ করতে হাত রেখেছিলেন পূজারির মাথায়। আবার একদিন হলুদ শাড়ি পরা একটি অপরিচিত বাচ্চা মেয়েকে হঠাৎ মন্দিরে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, তারপর গোটা মন্দির চত্বরে তাকে আর দেখা মেলেনি। নানা সময় ঘটেছে নানা অলৌকিক ঘটনা। দমদমে যারা থাকেন । তারাও অনেকেই জানেন না । মায়ের মন্দির ঠিক কোথায় ?
দমদম স্টেশনে নেমে নাগেরবাজারগামী অটো বা বাসে চেপে নামতে হবে মতিঝিল গার্লস স্কুল স্টপেজে। সেখানে উল্টো ফুটে গিয়ে একটি গলি চলে যাবে সোজা মন্দিরের দিকে। পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলেই দেবী বগলামুখীর এই মন্দিরে পৌঁছনো যাবে।পাশে দেখতে পাবেন একটা মাঠ তা গা লাগয়োা প্রাচীন মন্দির। মন্দিরটি পাঁচটি চূড়া-বিশিষ্ট তাই একে পঞ্চরত্নের মন্দিরও বলা হয়। দেবীর বিগ্রহ এখানে পাথরের বেদিতে স্থাপিত। দেবীর দুই হাত, পরনে হলুদ বস্ত্র, গায়ে অলঙ্কার। দেবীর ডানহাতে মুগুর। এই মন্দিরে প্রতিদিন দেবীর অন্নভোগ হয়। সন্ধ্যায় দেওয়া হয় মিষ্টি ও ফল। বিশেষ করে হলুদ বস্ত্র, হলুদ ফুল, হলুদ মিষ্টি মায়ের প্রিয়।
জানেন দেবী বগলা আসলে কে? “বগালামুখী” শব্দটি এসেছে “বগালা” এবং “মুখ” থেকে, যার অর্থ যথাক্রমে “লাগা” এবং “মুখ”। এইভাবে, নামের অর্থ হল এমন। একজন যার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। এইভাবে তিনি দেবীর সম্মোহনী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন। আরেকটি ব্যাখ্যায় তার নাম “কল্যাণী” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। সতী যখন মহাদেবের কাছে তাঁর পিতৃগৃহে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন, তখন মহাদেব তাঁকে অনুমতি দেননি। ক্ষুব্ধ দেবী সতী তাঁর ১০টি রুদ্র রূপের মাধ্যমে সেই সময় মহাদেবকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ভয় দেখিয়েছিলেন। এই ১০টি রূপের প্রতিটি মহাবিদ্যা নামে খ্যাত। তন্ত্রমতে, দেবী যে কোনও দোষকে গুণে পরিণত করতে পারেন। যেমন তিনি অজ্ঞানকে জ্ঞানে। শক্তিহীনতাকে শক্তিতে আর পরাজয়কে জয়ে পরিবর্তন করতে পারেন।
একশো বছর আগে রাধিকাপ্রসাদ সান্যাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বপ্নাদেশে তিনি জানতে পেরেছিলেন যেখানে আজ মন্দির, তার মাটির নীচে দেবীমূর্তি রয়েছে। এরপর তিনি মাটি খুঁড়িয়ে সেখান থেকে দেবীর মূর্তিটি উদ্ধার করেন। সেই থেকেই দমদমের দেবীনিবাস রোডে পূজিত হয়ে আসছেন মা। কারা কারা মায়েকর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন কমেন্ট বক্সে লিখে জানাৈন আমাদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম