।। প্রথম কলকাতা ।।
Sindoor Vastu Tips: হিন্দু সংস্কৃতি এবং সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, বিবাহের পর প্রতিটি মহিলাই সযত্নে প্রতিদিন নিয়ম করে সিঁদুর পরেন। সিঁদুর নামক এই জিনিসটি অত্যন্ত পবিত্র এবং শুভ বলে মনে করা হয়। সিঁদুর পরার প্রথা আজ নয়, প্রায় শত শত বছর ধরে হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যদিও বর্তমানে সিঁদুর পরার ক্ষেত্রে পড়ার নিয়মে বিভিন্ন বদল এসেছে। সাম্প্রতিককালে গুঁড়ো সিঁদুরের পাশাপাশি বাজারে পাওয়া যায় লিকুইড সিঁদুর। সিঁদুর পরা নিয়ে সমাজে প্রচলিত কিছু বিশ্বাস এবং ধ্যান ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে নানান নিয়ম। পুরান এবং বাস্তু মতে স্বামীর সৌভাগ্য নির্ভর করে মহিলাদের সিঁদুর পরার উপর। তাই একজন স্ত্রী কিভাবে সিঁদুর পরছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর রাখতে এবং সংসারের কালো ছায়া দূর করতে মেনে চলা হয় বেশ কিছু নিয়ম।
•বলা হয় সব সময় সিঁদুর কিনতে হবে স্বামীর টাকায় কিংবা নিজের টাকা দিয়ে। অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করে সিঁদুর কিনে পরতে নেই। এমনটা করলে সাংসারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
•ভেজা চুলে সিঁদুর ব্যবহার করতে নেই। কথিত আছে এর ফলে নাকি সংসারের সুখ শান্তি নষ্ট হয়।স্নানের পর তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে চুল মুছে শুকিয়ে তবেই সিঁদুর পরবেন।
•উপহার হিসেবে পাওয়া সিঁদুর ব্যবহার করতে নেই। সিঁদুর পরতে হবে সিঁথির মাঝখান বরাবর। এর ফলে স্বামীর আয়ুর বৃদ্ধি পায়।
•চুল দিয়ে কখনই সিঁথির সিঁদুর আড়াল করবেন না। এই কাজের ফলে স্বামীর জীবনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
•আপনার সিঁথিতে অন্য কোন নারীর সিঁথির সিঁদুর লাগতে দেবেন না। এর ফলে সংসারিক আর্থিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
• প্রাচীনকালে হলুদের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হত সিঁদুর। পরবর্তীকালে তাতে লাল রং মিশিয়ে গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি করা হয়। লাল রং হল শক্তির প্রতীক। শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরের বিভিন্ন স্থানে অধিষ্ঠান করেন নানান দেবতারা। আর কপালে প্রতিষ্ঠান করেন স্বয়ং ব্রহ্মা। তাঁকে সন্তুষ্ট করতেই ব্যবহার করা হয় লাল সিঁদুর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম