।। প্রথম কলকাতা ।।
Bollywood: এই মহিলা না থাকলে শাহরুখ খান আজ জওয়ান হতে পারতেন না। রণবীরের খিলজি হয়ে ওঠার পেছনেও রয়েছেন তিনিই। একদিনে কয়েক লক্ষ চার্জ করেন এই মেকআপ আর্টিস্ট। সেট করছিলেন পুষ্পা ও গঙ্গুবাই এর লুকস। হাতের জাদুতে বদলে যায় সেলেবরা।
মেকআপের জোরে সব সম্ভব। ছেলে থেকে মেয়ে, আবার মেয়ে থেকে ছেলে। এটা নিয়ে কম ট্রোলিং তো আর হয়না। তবে মেকআপ যে মোটেও হাসি মজার জিনিস নয় সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রীতিশিল সিং। সে শাহরুখ হোক কী সলমন, তার হাতের জাদুতে মুহুর্তের মধ্যে বদলে যায় সেলেবদের চেহারা। তবে এই মেকআপ কিন্তু যে সে মেকআপ নয়। তাতেও রয়েছে বিস্তর সব চমক। আজকের দিনে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে গোটা বলিউডের প্রথম পছন্দ প্রীতিশিল সিং। ইতিমধ্যেই সেরা মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে জাতীয় পুরস্কারটিও নিজের ঝুলিতে ভরেছেন এই তরুণী।
তা এই প্রীতিশিল কে? কীভাবে হয়ে উঠলেন বলিউডের সেরা মেকআপ আর্টিস্ট? জেনে অবাক হবেন যে, আজকের এই মেকআপ আর্টিস্ট একজন দক্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ব্যাপারটা অদ্ভুত তাই না? ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেকআপের কানেকশনটা বড়োই ইন্টারেস্টিং কিন্তু। দীর্ঘ পাঁচ বছর চাকরিও করেছেন। কিন্তু তাতে আর মন কোথায়? একদিন হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে মেকআপ নিয়ে উঠেপড়ে লাগেন। প্রস্থেটিক মেকআপ শেখার জন্য ভর্তি হন লস অ্যাঞ্জেলেসের সিনেমা মেকআপ স্কুলে।
ব্যাস, তারপর থেকেই শুরু করলেন মানুষের অবয়ব নিয়ে কাটাছেঁড়া। তুলির কারসাজিতে কাউকে করে তুলেছেন ভয়ঙ্কর ভিলেইন, তো কাউকে আবার অসামান্যা রূপসী। ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’র ক্লাইম্যাক্সের আলিয়া থেকে শুরু করে হীরামন্ডীর সোনাক্ষী, সঞ্জিদাদের তো তিনিই সাজিয়েছেন। তার হাতের জাদুতে কে কখন কীভাবে বদলে যায় ধরতেই পারবেন না। প্রস্থেটিক মেক আপে সত্যিই তার জুড়ি মেলা ভার।
আর এখন তো কিং খানেরও পার্সোনাল ফেভারিট এই প্রীতিশিল। অমিতাভ বচ্চন অবধি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মেকআপ যে কেবল সুন্দর দেখাতেই কাজে লাগে তা কিন্তু নয়। মেকআপের আড়ালে বদলে যায় অনেককিছুই। প্রীতিশিল যে মেকআপ দিয়েই যে কত কিছু করতে পারেন তা আপনি ভাবতেও পারবেন না।
আর এই কাজের জন্য তার পারিশ্রমিকটাও কম নয় কিন্তু। এক একটা দিনের জন্যে কয়েক লক্ষ টাকা চার্জ করে থাকেন প্রীতিশিল।
এই যেমন আল্লু অর্জুনের কথাই যদি বলি। আপনি যে ক্যারেক্টারটার উপর ফিদা, সেই পুষ্পার লুক কিন্তু প্রীতিই তৈরি করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনেতার অভিনয় নিয়ে যতটা না চর্চা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়েছিল তার লুক নিয়ে। আর সেটা পুরোটাই প্রীতির হাতের খেল। তাই চেনাজানা কোনও মেকআপ আর্টিস্ট থাকলে তাদের সাথেও ভাগ করে নিন প্রীতিশিলের এই গল্প।
বলিউড, তামিল, তেলেগু থেকে শুরু করে ফ্লিপকার্ট, আমাজনের মত বড় বড় ব্র্যান্ডের সাথেও কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন বড় বড় প্রোজেক্টে। আর এখন তো প্রীতিশীল তার সঙ্গী মার্ক ডি’সুজার সাথে ‘দা মেকআপ ল্যাব’ নামের এক কোম্পানিই খুলে ফেলেছেন। সেখান থেকেও রোজগার করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তাহলেই ভাবুন মেকআপের কত ক্ষমতা। তাই মেকআপ নিয়ে যদি হাসাহাসি করছেন, তাহলে সেটা আর একদমই করবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম