।।প্রথম কলকাতা।।
Cloves cultivation: ভারতে গত কিছু বছর থেকে কৃষকদের মধ্যে জাগরণ তৈরি হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন রকম অর্গানিক ও ভেষজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরেলা ও পাহাড়ি অঞ্চলে এর ব্যাপক চাষাবাদ চলে। এই সুগন্ধি মশলাটি থেকে রূপচর্চার বিভিন্ন উপাদান,ঔষধ, অ্যারোমা থেরাপি সহ বিভিন্ন ভেষজ খাতে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। লবঙ্গ চাষ করে কোটি কোটি টাকা মুনাফার দিকে নজর দিচ্ছেন অনেকে। নিয়মিত চাষ করে লাখপতি বা কোটিপতি হয়ে যাওয়া অবাক হওয়ার কিছু নয়। লবঙ্গ মশলা হোক কিংবা ওষুধ সব সময় একটা অপরিহার্য ফসল হিসেবে কাজ করে। লবঙ্গের চাহিদা যখন প্রচুর তখন লবঙ্গ চাষ করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব।
লবঙ্গ চাষ করতে গিয়ে নরম মাটি উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। লবঙ্গ চাষের জন্য জমি তৈরি করতে গেলে আগে থেকে মাথায় রাখতে হবে যে জল নিকাশি ব্যবস্থা যেন ভালো থাকে। নাহলে গাছের চারায় যদি জল জমে থাকে তাহলে তা পচে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এই গাছের চারায় ছায়া খুব অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও একটা কথা মাথায় রাখতে হবে । মাটি যেন নরম থাকে তবে কাদা কাদা হলে চলবে না। লবঙ্গ আসলে লবঙ্গ ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে করা হয়। ফুল ফোটার আগে একে গাছ থেকে পেরে শুকিয়ে তৈরি করা হয়।
লবঙ্গ চাষের জন্য দোআঁশ মাটি, বেলে দোআঁশ মাটি অথবা লাল মাটি ভালো। লবঙ্গের ফল পেকে বীজ থেকেই চারা হয়। বীজ বপনের আগে জমিতে কমপোস্ট বা জৈব সার দিতে হয়। অল্প কিছু রাসায়নিক সারও দেওয়া যায়। তবে অনেক কৃষক রোপনের সময় সার না দিয়ে চারা রোপনের পরবর্তী সময় সার দিয়ে থাকেন প্রয়োজন মতো। এই গাছের তেমন কোনো প্রজাতি নেই।
লবঙ্গ গাছ থেকে বীজ পেকে গেলে তারপর তা সংগ্রহ করে বীজ বপনের মাধ্যমে চারা তৈরি করা হয়। কিন্তু গাছে তাড়াতাড়ি ফলন চাইলে কলমের চারা ব্যবহার করতে হবে। কলমের চারায় মাতৃ গাছ ভালো থাকে এবং ফলন ভালো হয় আবার গাছ দুর্বল হয় না। চারার উপরের ক্ষেত্রে এক মিটার প্রস্থ এবং সুবিধামতো দৈর্ঘ্য নিয়েও চাষ করা যায়। প্রতিটি চারা ছয় থেকে সাত মিটার ব্যবধানে রোপণ করতে হবে। যদি পোকার আক্রমণ হয় তখন প্রয়োজনমতো কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। যেহেতু এটি একটি চাহিদা সম্পন্ন এবং বেশ মূল্যবান মশলা তাই আমাদের কৃষকেরা যদি এর চাষাবাদ করেন তবে আর্থিক ভাবে বেশ লাভবান হবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম